পাইলটের 'ঘর ওয়াপসি'-তে কংগ্রেসের সেফ ল্যান্ডিং! রাজস্থানে ফেল বিজেপির অপারেশন কমল
রাজস্থান কংগ্রেসের অভ্যন্তরে চলতে থাকা দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ও লড়াইয় পর্বের অবসান ঘটেছে বৃহস্পতিবারই। মরুঝড় শান্ত হয়ে রাজস্থান কংগ্রেসে বরফ গলাতে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাসভবনে পৌঁছলেন সচিন পাইলট। দুইজনকেই করমর্দন করতে দেখা গেল এদিন। মাস্কের পিছনে দুই জনের মুখেই হাসিও মনে হল। আর সেই হাসি আজ মিলিয়ে গিয়ে পরিণত হল বিজেপির প্রতি আক্রমণে।
বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয় রাজস্থানে
রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে এদিন বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয় রাজস্থানে। তার আগে নিজেদের কৌশল ঠিক করার জন্যই বৃবস্পতিবার বৈঠক ডাকা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েই কথা বলতে দেখা যায় পাইলট ও গেহলটকে। ভাবখানা এমন যেন এক মাস ধরে মান-অভিমানের পালা চলছিলই না তাঁদের মধ্যে। আর সেই মনোভাবই এদিন ফের ফুটে ওঠে বিধানসভায়।
রাজস্থানে অনাস্থা প্রস্তাব আনেনি বিজেপি
মনে করা হচ্ছিল এদিনের অধিবেশন উত্তপ্ত করে তুলতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে বিজেপির তরফে। তবে সমস্ত দূরত্বের অবসান ঘটিয়ে ফের এক ছাতার তলায় চলে আসে রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর সেই ঐক্য দেখেই বিজেপি আর এগোয়নি। কারণ অনাস্থা প্রস্তাব আনলে আখেরে লোকসান হত তাদের ভাবমূর্তিরই। তাছাড়া কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কোনও ফাটলের আঁচ না থাকলে এই ভোটে বিজেপির জয় অসম্ভব ছিল।
দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সচিন
জুলাইয়ে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সচিন পাইলটের নেতৃত্বাধীন ১৮ কংগ্রেস বিধায়ক। সংকটে পড়ে গেহলট সরকার। একমাসের বেশি সময় ধরে চলে সেই টানাপোড়েন পর্ব। অবশেষে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির মধ্যস্থতায় দ্বন্দ্ব মেটে কংগ্রেসে। রাজ্যে ফিরে সচিন পাইলট জানিয়ে দেন, তিনি পদ নিয়ে চিন্তিত নন।
পাইলটের ধামাকেদার ঘর ওয়াপসি
আর এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের প্রতি নিজের আনুগত্য বুঝিয়ে দেন সচিন। উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর বিধানসভায় তাঁর আসনও বদলেছে। এখন অন্য বিধায়কদের সঙ্গে বসতে হচ্ছে সচিনকে। সেই আসনে বসার পরেই সচিন বলেন এটা অনেকটা সীমান্তের মতো। আমি যেন সীমান্তে পাহারায় দাঁড়িয়ে রয়েছিল। সবচেয়ে দক্ষ সৈনিককেই সীমান্তে পাহারায় পাঠানো হয়। যাতে সে শত্রুকে সব জবাব দিতে পারে। এক্ষেত্রেও শত্রুর সব আক্রমণ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা আছে। আমরা দাঁড়িয়ে সেই সীমান্ত রক্ষা করতেই।
আস্থাভোটে জয় গেহলটের
এদিকে আশা মতোই নিজের ক্ষমতা ধরে রাখলেন অশোক গেহলট। রাজস্থান বিধানসভায় আস্থাভোটে অনায়াসেই জয় আনলেন অশোক। সচিনকে পাশে নিয়ে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। একই সঙ্গে বসুন্ধরা রাজের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। আপাতত আর কোনও শঙ্কা রইল না। রাজস্থানে অন্তত অপারেশন লোটাসের চেষ্টা সফল হল না বিজেপির।
কাশ্মীর নিয়ে হাত ধরাধরি করে মিথ্যা প্রচার চিন-পাকিস্তানের! কড়া হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি