কৃষি বিল বিরোধী প্রস্তাবে সম্মতি, ঘরে-বাইরে বিতর্কের মুখে কেরলের বিজেপি বিধায়ক
ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবের দেখানো পথে হেঁটেই বৃহঃষ্পতিবার নয়া কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করে ফেলেছে কেরল। এদিনই সর্বসম্মতি ক্রমে কেরল বিধানসভায় পাশ হয় এই প্রস্তাব। সম্মতি দিতে দেখা যায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সম্মতি জানানো ছাড়া এই প্রস্তাবে সায় দেন কেরল বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক ও রাজাগোপাল। যা নিয়ে দিনভর চলল রাজনৈতিক তরজা।

পাঞ্জাবের দেখানো পছেই হাঁটল কেরল
এদিকে শুধু কেরলের আগে পাঞ্জাবের দেখানো পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজ্যকে। পাশ হয়েছে কৃষি বিল বিরোধী প্রস্তাব। এদিকে চলতি বছরের শেষভাগেই এই নয়া আইন লাঘু করতে দেখা যায় কেন্দ্রকে। আর তারপরেই সিএএ, এনআরসি-র ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ ভারতের স্মৃতি উষ্কে দিয়ে ফের উত্তাল হয় গোটা দেশ। এমনকী নভেম্বরের শেষ থেকেই বাড়তে থাকে আন্দোলনের ঝাঁঝ। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৬ দিনের বেশি সময় ধরে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদী কৃষক।

কৃষি আইন বাতিলের রাস্তায় হাঁটছে না কেন্দ্র
এদিকে করোনাকালের আর্থিক মন্দার মাঝেই কৃষি আইন ইস্যুতে যখন গোটা দেশে কোণঠাসা বিজেপি, তখন কেরলের এই বিজেপি বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কৃষি আইন ইস্যু নিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন কৃষিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরা। কিন্তু তারপরেও মেলেনি রফাসূত্র। উল্টে কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে বলে দাবি করতে দেখা যায় মোদীকে। জুড়ে যায় নকশাল, খালিস্তানি তকমা।

ব্যাকফুটে বিজেপি
অন্যদিকে কৃষি আইনে সামন্য কিছু রদবদল আনা গেলেও তা বাতিল করার দিকে কোনও ভাবেই যে কেন্দ্র ঝুঁকছে না তা এর আগে একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন বিপির নেতা মন্ত্রীরা। এমতবস্থায় কেরলর বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক ও রাজাগোপালের পদক্ষেপের জেরে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গেল বিজেপি এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

২০২১ সালের নির্বাচনের আগে কী নতুন ইঙ্গিত কেরলে ?
অন্যদিকে সদ্য সমাপ্ত পুর-পঞ্চায়েত নির্বাচনে রীতিমতো ফের লাল ঝড় দেখা গিয়েছে কেরলে। তাই ২০২১ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যে রাজ্য বাম জোটই থাকছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। অন্যদিকে পঞ্চায়েত স্তরে আগের থেকে বেশ খানিকটা শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে পদ্ম শিবিরের। এমতাবস্থায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শক্তিবৃদ্ধিই যে এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য তা বলাই বাহুল্য।

বিতর্কের মুখে কী বললেন রাজাগোপাল
কিন্তু এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাজাগোপালের এই পদক্ষেপকে ভালো ভাবে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় বিজেপি। তবে এই প্রসঙ্গে সরাসরি রাজাগোপালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, " প্রস্তাব পেশের আগে আলোচনার সময় রেজিউলেশন নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। এমনকী এই আইন কোন কোন ক্ষেত্রে কৃষকদের স্বার্থে কাজে লাগতে পারে তাও তুলে ধরি। তবে নির্দিষ্ট কিছু অংশ ছাড়া পিনরাই সরকারের প্রস্তাবের বাকি অংশের সাথে আমার সমর্থন রয়েছে। " এমনকী এই সমঝোতা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থারই একটা অংশ বলেও তিনি দাবি করেন। তবে এই সিদ্ধান্ত তাঁর দল মেনে নাও নিতে পারে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানান তিনি।
ফল ভালো হবে না! তিব্বত নিয়ে ভারতকে অযথা মাথা না ঘামানোর 'হুঁশিয়ারি’ চিনের
