বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিদ্রোহের মুখে বিজেপি, ১১ জনের টিকিট বাতিলে ‘নির্দল’ ২৩
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিদ্রোহের মুখে বিজেপি, ১১ জনের টিকিট বাতিলে ‘নির্দল’ ২৩
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে নজিরবিহীন বিদ্রোহের মুখে পড়ল বিজেপি। বিজেপি আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় ১১ জন বিধায়কের টিকিট বাতিল করায় রাজ্যে বিদ্রোহ চরম আকার নিতে শুরু করেছে। আসন বণ্টন নিয়ে ২৩ জন বিদ্রোহী নেতা-নেত্রীর বিদ্রোহের সম্মুখীন হয়েছে বিজেপি। এই বিদ্রোহ কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিতে পারে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কিছু বিদ্রোহীকে বুঝেছেন, বেশিরভাগই প্রতিরোধের রাস্তায়
১১ জন বিধায়কের টিকিট বাতিলের পর বিদ্রোহ এমনভাবেই দানা বেঁধেছে যে ২৩ জন বিদ্রোহী নেতা-নেত্রী নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এর ফলে বিজেপি বনাম বিজেপি যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল। শনিবার ছিল হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। বিজেপির বিদ্রোহীদের বেশিরভাগই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেনি। বিজেপি কিছু বিদ্রোহীকে বোঝাতে সমর্থ হলেও বেশিরভাগই প্রতিবাদ জারি রেখেছেন।
১১ বিধায়ক টিকিট পাননি, বিজেপি বিদ্রোহের মুখে পড়েছেন
আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি ১১ জন বিধায়ককে টিকিট দেয়নি। তারই ফলে বিজেপি বিদ্রোহের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে বিশিষ্ট ছিলেন নালাগড়ের বিধায়ক লখবিন্দর সিং রানা এবং সিমলার বিধায়ক সুরেশ ভরদ্বাজ। তাঁরা আসন হারিয়েছিলেন যথাক্রমে কে এল ঠাকুর এবং সঞ্জয় সুদের কাছে। সুরেশ ভরদ্বাজকে যদিও প্রার্থী করা হয়ছে কাসুম্পতি থেকে। সেখানে কংগ্রেসের অনিরুদ্ধ সিংয়ের বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন। অনিরুদ্ধ সিং এই কেন্দ্র থেকে তিনবার জিতেছেন।
বিদ্রোহীদের শান্ত করার জন্য পাঠানো হয় জেপি নাড্ডাকে
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার অঞ্চল বিলাসপুরে বর্তমান বিধায়ক সুভাষ ঠাকুর। তাঁকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী না করে অজয় জামওয়ালকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি বিজেপি সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়। এখানেও বিদ্রোহের মুখে পড়তে হয় দলকে। এরপর বিদ্রোহীদের শান্ত করার জন্য পাঠানো হয় জেপি নাড্ডাকে। তিনি কুল্লু নেতা মহেশ্বর সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে শান্ত করতে পারলেও অন্যদের তিনি দমাতে পারেননি।
শনিবার পর্যন্ত ১১ জন বিদ্রোহী নেতার মনোনয়ন প্রত্যাহার
বিজেপি নিশ্চিত করেছে, মঙ্গল পাণ্ডে নাগরোটা আসনে দলের বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। বিনয় নেওয়ারিয়াও কুল্লু আসন থেকে তার মনোনয়ন ফিরিয়ে নিয়েছেন। ধর্মশালা আসনে বিজেপি রাকেশ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছিল। তিনি আম আদমি পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর ফের ফিরে এসেছেন বিজেপিতে। শনিবার পর্যন্ত ১১ জন বিদ্রোহী নেতা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এখন আরও ১২ জন বিদ্রোহী রয়েছেন বিজেপিতে
বিজেপি যখন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল তখন মোট ২৩ জন বিদ্রোহী ছিলেন। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, আমরা তাদের মধ্যে ১১ জনকে বোঝাতে সমর্থ হয়েছি। আগেই ৯ জনকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে পেরেছিলাম। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে আরও দুজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন। ফলে এখন আর ১২ জন রয়েছে বিদ্রোহী।
বিজেপিতে বিদ্রোহ, কংগ্রেস চাইছে এর ফায়দা তুলতে
রাজ্যে মন্ত্রীদের মধ্যে বনমন্ত্রী রাকেশ পাঠানিয়াও তাঁর আসন হারান। তাঁকে নুরপুর থেকে ফতেপুরে পাঠানো হয়। তিনি রাজ্যসভার কৃপাল পার্মার এবং আপে যোগদানকারী প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাজন সুশান্তের প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন। এর ফলে বিজেপিতে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস চাইছে এর ফায়দা তুলতে।
সৌরশক্তির ব্যবহারে ভারতে নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে, দেশবাসীকে ছটপুজোর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর