শক্তিশালী সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত! এবিজির ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা বরুণের
শক্তিশালী সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত! এবিজির ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা বরুণের
দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাঙ্ক (bank) প্রতারণা (fraid) কাণ্ডে মোদী (Narendra Modi) সরকারকে নিশানা করলেন পিলভিটের বিজেপি (bjp) সাংসদ বরুণ গান্ধী (varun gandhi)। এবিজি (abg) শিপইয়ার্ডের কর্ণধার ঋষি আগরওয়ালের বিরুদ্ধে ২৮ টি ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামের প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বরুণ। যদিও গুরুত্বে নারাজ বিজেপি।
টুইটে বিজয় মাল্য এবং নীরব মোদীর কথা উল্লেখ
বরুণ গান্ধী টুইটে পরপর বিজয় মাল্য, নীরব মোদীর পাশাপাশি ঋষি আগরওয়ালের কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, দেশের মজবুত সরকার, অতি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেই আশা করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি টুইটে বলেছেন, দেশে যখন প্রতিদিন ঋণের দায়ে ১৪ জন আত্মহত্যা করছেন, সেই সময় এই ধরনের ব্যক্তিরা বিলাসপূর্ণ জীবনযাপন করছেন।
লুকআউট নোটিশ
এই প্রতারণা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই ইতিমধ্যেই ঋষি আগরওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও লুকআউট নোটিশ জারি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। ২৮ টি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ২২, ৮৪২ কোটি টাকা প্রতারণ করেছেন সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ঋষি আগরওয়াল, সান্থারাম মুথুস্বামী এবং অশ্বিনীকুমার। এবিডি শিপইয়ার্ডের প্রোমোটররা যে ঋণ নিয়েছিলেন তা ৯৮ টি সংস্থা ভাগ করে নিয়েছিলেন। ২০১৯-এর এপ্রিল থেকে ২০২০-র মার্চের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবিজি শিপইয়ার্ডকে প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
দেশের অর্থনীতি এবং কৃষক বিক্ষোভ নিয়েও সরকারের বিরোধিতা
দেশের বর্তমান অর্থনীতি এবং কৃষক বিক্ষোভ নিয়েও তাঁকে সরকারের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রেলে নিয়োগে নিয়ে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের বিক্ষোভফ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। দেশের বর্তমান বেকার পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এর আগে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষকদের বিক্ষোভই হোক কিংবা লখিমপুর খেরি কাণ্ড, সরব হতে দেখা গিয়েছিল বরুণ গান্ধীকে।
আগেও বিভিন্ন বিষয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা
এর আগেও বরুণ গান্ধীকে বিভিন্ন বিষয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে শান্তিশ্রী ধুলিপুদি পণ্ডিতকে নিয়োগের সমালোচনা করেছিলেন। বিজেপি অবশ্য বরুণ গান্ধীকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর এইসব মন্তব্য কিংবা টুইট নিয়ে সেরকম কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর বিজেপি যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধী কিংবা তাঁকে যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা কার্যত বোঝাতেই বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে মেনকা গান্ধীকে বাদ দিয়েছিল।