
আমি সবসময়ে মমতার পাশেই...! নেত্রীকে পাশে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি সাংসদের
দিল্লিতে বসে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই বৈঠকের আগেই খোদ বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক সারলেন তিনি। দিল্লির রাজনীতিতে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে মমতার এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিকমহলের মতে, কংগ্রেসের পর এবার বিজেপির ঘর ভাঙতে চলেছে তৃণমূল।

মমতার পাশেই আছে...!
চারদিনের সফরে এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিনে একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাও তৃনমুলে যোগ দিয়েছেন। তবে এদিন কার্যত সবাইকে চমকে দেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। নির্ধারিত সময়ে দিল্লিতে অভিষেকের বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় বিজেপি সাংসদের। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য স্বামীর। বলেন, ''মমতার পাশেই আছি। আলাদা ভাবে দলবদল করার কোনও প্রয়োজন নেই।'' তাহলে আগামিদিনে কি স্বামীকে মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে দেখা যাবে? উড়িয়ে দিতে পারছেন না রাজনৈতিকমহল।

বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েক মাস ধরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সু্ব্রহ্মণ্যম স্বামীর। তারপরেই বিেজপির কোর কমিটি থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে। বেশ কয়েরবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও প্রাকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী সরকারের সমালোচনায় একাধিক কথা লিখেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোম যাত্রা আটকে দেয় বিদেশমন্ত্রক। এমনটাই অভিযোগ। আর সেই সময়ে মমতার পাশে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন রোম যাত্রার উপর নিষেধাজঙ্গা জারি করা হল। সম্প্রতি পেগাসাস ইস্যুতেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আঙুল তুলেছিলেন তিনি। ফলে স্বামীর কয়েকদিনের আচরন স্পষ্টতই পরিস্কার যে বিজেপি নয়, তৃণমূলের পথেই তিনি।

পদ বাঁচাতেই কি কৌশলি সাংসদ?
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগেই তৃনমুলে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যদিও শাসকদলে যোগ দেওয়ার পরেই আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তবে রাজনৈতিকমহলের মতে, সম্ভবত স্বামীরও তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষা। তবে সাংসদ পদ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সেই কারনেই সম্ভবত এখনও তৃনমুলমুখী হচ্ছেন না তিনি।

হেভিওয়েটের তৃণমূলে যোগ
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিন হেভিওয়েট নেতা। হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অশোক তনওয়ার যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। একই সঙ্গে গতকাল কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদও যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এমনকী নীতীশের ঘরেও থাবা বসিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ পবন ভর্মা। বিহারেও সংগঠন বিস্তারের সুযোগ তৈরি করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Recommended Video
