কংগ্রেস বা আরজেডির টিকিটে লোকসভায় লড়তে চান বিজেপি সাংসদ! মোদীকে চ্যালেঞ্জ
তিনি এখনও বিজেপি সাংসদ। তবু তিনি চান না আর বিজেপির হয়ে লড়তে। তিনি চান কংগ্রেস বা আরজেডির টিকিটে বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভায় লড়তে।
তিনি এখনও বিজেপি সাংসদ। তবু তিনি চান না আর বিজেপির হয়ে লড়তে। তিনি চান কংগ্রেস বা আরজেডির টিকিটে বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভায় লড়তে। কোনও রাখঢাক না করে খোলাখুলিই জানিয়ে দিলেন সে কথা। তেজস্বী যাদব ও রাবড়িদেবীর ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রিত হয়ে একথা জানান বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
২০১৪ সালে বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বিহারের পাটনা সাহিব থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এবারও তিনিও এই কেন্দ্র থেকে লোকসভায় দাঁড়াতে চান, তবে বিজেপির টিকিটে আর নয়, এবার তিনি রাহুলের দল বা লালুর দলের প্রতিনিধিত্ব করতে
২০১৪ সালে পাটনা সাহিব এলাকা থেকে জয়ী হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বছর চারেক আগের সেই জয়ের কথা ভোলেননি তিনি। বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান তিনি। তবে বিজেপি নয়, কংগ্রেস অথবা আরজেডির টিকিটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি এদিন বলেন, আমি বিজেপি সাংসদ হতে পারি, এখনও বিজেপি আমার দল হতে পারে, কিন্তু বরাবরই লালুজি আমার পরিবার। তাই লালুজির দলের হয়ে এবার লড়তে চাই আমি। কিংবা কংগ্রেসের টিকিটে লড়তেও আমার আপত্তি নেই। এই ইফতারে লালুজির সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে আমি গর্বিত।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, মোদী সরকারের রাজত্বে বেশিরভাগ মন্ত্রী নিজের পর আর আখের গোছাতেই ব্যর্থ। সেই কারণেই দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছে। মোদীর নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। সেই কারণেই শত্রুঘ্ন সিনহা দীর্ঘদিন ধরেই মোদী ও বিজেপিকে সমালোচনা বিদ্ধ করছেন।
বিজেপির প্রাক্তনমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার সঙ্গে তিনিও সামিল হন মোদী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনায়। দিল্লির দরবার পর্যন্ত প্রতিবাদ টেনে নিয়ে যান। এমনকী তিনি সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক নির্বাচনের প্রচার নিয়েও নিজের দলের সমালোচনা করেন তিনি। তিনি এদিন বলেন, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাই না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকেও তাঁরক মর্যাগা ও গরিমা অক্ষুন্ন রাখা উচিত।