'আমি মহাত্মা গান্ধীর অবদানকে শ্রদ্ধা করি', সংসদে ক্ষমা চেয়েই রাহুলকে তোপ প্রজ্ঞার
'আমি মহাত্মা গান্ধীর অবদানকে শ্রদ্ধা করি', সংসদে ক্ষমা চেয়েই রাহুলকে তোপ প্রজ্ঞার
গত দুই তিন ধরে সংসদ উত্তাল ছিল বিজেপির ভোপালের সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার এক মন্তব্যকে ঘিরে। যে মন্তব্যে সাধ্বী প্রজ্ঞা গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে 'দেশভক্ত' বলে আখ্যা দেন। যার জেরে বিজেপিরও চক্ষুশূল হয়ে যান প্রজ্ঞা। সংসদে এই নিয়ে তুমুল শোরগোল তোলে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, ' সন্ত্রাসবাদী প্রজ্ঞা সন্ত্রাসবাদী গডসেকে দেশভক্ত বলছেন, এটা সংসদের ইতিহাসে লজ্জা।'
|
এদিন প্রজ্ঞা যা জানান
সংসদে এদিন শুরুতেই সাধ্বী প্রজ্ঞা জানান, 'আমার মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। আমি মহাত্মা গান্ধীর অবদানকে শ্রদ্ধা করি।' এরপরই তিনি বলেন যে যদি কোনওভাবে তাঁর মন্তব্য কাউকে আঘাত দিয়ে থাকে, তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
|
রাহুলকে তোপ প্রজ্ঞার
সাধ্বী প্রজ্ঞা এদিন , লোকসভার অধিবেশনে দাঁড়িয়ে রাহুল গন্ধীর দিকে তোপ দেগে সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, 'সংসদের একজন সাদস্য আমাকে সন্ত্রাসবাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন। এটা আমার সম্মানে আঘাত লাগবার সামিল। এখনও পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।'
সাধ্বী ইস্যুতে ক্ষোভ বাড়ে বিজেপিতে
বিজেপির তরফে সাধ্বী ইস্যুতে কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দেন দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্যানেল থেকে সাধ্বীকে সরানোর পাশাপাশি, তাঁরা দলের সংসদীয় মিটিং থেকেও প্রজ্ঞাকে সরিয়ে দেন আপাতত। এছাড়া সূত্রের দাবি ছিল, গডসে মন্তব্যের জেরে সাধ্বীকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করার কথাও ভেবে বসেছিল বিজেপি। তবে আজকে সাধ্বীর ক্ষমা প্রার্থনার পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, সেদিকে নজর সকলের।