বিজেপি শাসিত রাজ্যে সিভিল সার্ভিসে কেলেঙ্কারি! গ্রেফতার সাংসদ কন্যা-সহ ১৯ অফিসার
অসম সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ-কেলেঙ্কারি। যার জেরে জড়াল একাধিক বিজেপি নেতার নাম। অসম পাবলিক সার্ভিস কমিশনে টাকার বদলে চাকরির এই কেলেঙ্কারি গ্রেফতার করা হয়েছে তেজপুরের বিজেপি সাংসদের মেয়ে-সহ ১৯ জনকে।
অসম সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ-কেলেঙ্কারি। যার জেরে জড়াল একাধিক বিজেপি নেতার নাম। অসম পাবলিক সার্ভিস কমিশনে টাকার বদলে চাকরির এই কেলেঙ্কারি গ্রেফতার করা হয়েছে তেজপুরের বিজেপি সাংসদের মেয়ে-সহ ১৯ জনকে। গ্রেফতার হওয়াদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপি বিধায়কের ভাইঝি। বৃহস্পতিবার সবাইকে আদালতে তোলা হবে।
ডিব্রুগড় পুলিশের তরফে ধৃতদের হাতের লেখা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার অসম স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদর দফতর গুয়াহাটির কাহেলিপাড়ায় তাদের হাতের লেখার পরীক্ষা নেওয়া হবে। কেননা অভিযুক্তদের উত্তরপত্রের ফরেনসিক পরীক্ষা করে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পরেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিব্রুগড়ের পুলিশ সুপার গৌতম বড়ুয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষাতেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কয়েকজন পরীক্ষার্থী একাধিক ভুয়ো উত্তরপত্র জমা দিয়েছিলেন। জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
অভিযুক্তরা সবাই অসমের কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ এগজাম-১৪-তে পরীক্ষা দিয়েছিল। তাঁদের নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬-তে। অভিযোগ অভিযুক্তরা অসম সিভিল সার্ভিস কমিশনের অফিসারদের প্রচুর টাকা ঘুষ দিয়েছিল।
গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, ১৩ জন সিভিল সার্ভিস অফিসার, এছাড়াও ৩ জন করে রয়েছেন অসম পুলিশ সার্ভিস এবং অ্যালায়েড সার্ভিস থেকে। অভিযুক্ত সিভিল সার্ভিস অফিসাররা হলেন, উৎপল ভুঁইয়া, বর্ণালী দাস, সুশোভন দাস, ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী, মঞ্জুর ইলাহি লস্কর, ,মুন মজুমদার, মুস্তফা আহমেদ বারভুঁইয়া, মহম্মদ সইবুর রহমান বারভুঁইয়া, মনিকা তেরনপি, গণেশচন্দ্র দাস, শ্রাবন্তী সেনগুপ্ত, দীপশিখা ফুকন, লীনাকৃষ্ণ কাকতি। অসম পুলিশ সার্ভিসের অফিসাররা হলেন, গুলসান দাওলাগপু, পল্লবী শর্মা( বিজেপি সাংসদ আরপি শর্মার মেয়ে) এবং ভার্গব ফুকন। বাকি অফিসারা হলেন, সুরঞ্জিতা হাজারিকা, ঋতুরাজ নিয়োগ এবং নিপনকুমার পাঠন।
গ্রেফতার হওয়া মনিকা অসমের বিজেপি বিধায়ক জয়রাম এংলং-এর ভাইঝি বলে জানা গিয়েছে।
অসমের বিজেপি সাংসদ আরপি শর্মা অবশ্য তাঁর মেয়ের নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পিছনে দলের মধ্যেকার কারও কারও হাত দেখছেন। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের সামনে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এই ব্যবস্থা। তাঁরই বেশ কিছু বিরোধী পুলিশের ওপর প্রভাব খাটিয়ে মেয়ের গ্রেফতারে হাত লাগিয়েছে।