রামপুরহাটের বগটুইতে গণহত্যা! বাংলার মানুষ কথা বলতে পারে না, রাজ্যসভায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন রূপা গাঙ্গুলি
রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে গণহত্যার কথা বলতে গিয়ে রাজ্যসভায় (Rajyasabha) কেঁদে ফেললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি ( roopa ganguly) । প্রসঙ্গত সোমবার রাতে সেখানে তৃণমূল নেতার হত্যার পরে আটজনকে পুড়িয়ে মার
রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে গণহত্যার কথা বলতে গিয়ে রাজ্যসভায় (Rajyasabha) কেঁদে ফেললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি ( roopa ganguly) । প্রসঙ্গত সোমবার রাতে সেখানে তৃণমূল নেতার হত্যার পরে আটজনকে পুড়িয়ে মারা হয়। তারপরেই দিন রাজ্যের গঠন করা সিট ঘটনার তদন্ত শুরু করে। আর এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ওই ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
বাংলায় মানুষ কথা বলতে পারে না
রূপা গাঙ্গুলি এদিন অভিযোগ করেন, বাংলায় মানুষ কথা বলতে পারে না। সরকার খুনীদের রক্ষা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, দেশের আর কোনো রাজ্য নেই, যেখানে সরকার জলের পরে এমনভাবে মানুষ খুন করে। তিনি বলেন আমরা সবাই মানুষ। পাথরের হৃদয় হতে পারে না।
কান্নায় ভাঙলেন রূপা
রূপা গাঙ্গুলির মন্তব্যে তৃণমূল সাংসদরা বাধা দিতে থাকেন। এরপরেই রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে বলতে দিয়ে কেঁদে ফেলেন রূপা গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, আমরা (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতিশাসনের দাবি করছি। সেখানে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। মানুষ এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে। রাজ্যে বেঁচে থাকার উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট
এদিকে
এদিনই
রামপুরহাটের
গণহত্যার
ঘটনায়
সিবিআই
তদন্তের
আদেশ
দিয়েছে
কলকাতা
হাইকোর্টের
ডিভিশন
বেঞ্চ।
আদেশে
বলা
হয়েছে,
রাজ্যের
গঠিত
সিট
এব্যাপারে
আর
কোনও
তদন্ত
করতে
পারবে
না।
এখনও
পর্যন্ত
যা
তদন্ত
হয়েছে,
তার
সব
নথি
তুলে
দিতে
হবে
সিবিআই-এর
হাতে।
পাশাপাশি
মঙ্গলবারের
পর
থেকে
সিট
যে
তদন্ত
করেছে
তা
নিয়েও
প্রশ্ন
তোলা
হয়েছে
আদালতের
তরফ
থেকে।
কেন
তৃণমূল
নেতা
খুনের
পরেই
এলাকায়
পর্যাপ্ত
পুলিশি
বন্দোবস্ত
ছিল
না
তা
নিয়েও
প্রশ্ন
তোলা
হয়েছে।
প্রসঙ্গত
বৃহস্পতিবারই
সামনে
এসেছে
আটজনকে
জীবন্ত
দগ্ধ
করার
ময়নাতদন্তের
প্রাথমিক
রিপোর্ট।
সেখানে
বলা
হয়েছে
মারধর
করার
পরে
আগুন
ধরানো
হয়েছিল
সেখানে।
মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে
মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়েছিলেন রামপুরহাটের বগটুইগ্রামে। সেখানে গিয়ে তিনি জীবন্ত পুড়িয়া মারা হয়েছে যাঁদের, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ, যাকে হত্যার পরে এই গণহত্যা, তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি। মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামেই ঘোষণা করেন, মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা করে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানানা তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থল থেকেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।