'বিএসএনএল-এ কাজ করছে ৮৫ হাজার দেশদ্রোহী, সবাইকে চাকরি থেকে তাড়ানো হবে!'
বিএসএনএল কর্মীদের দেশদ্রোহী বলে উল্লেখ করলেন উত্তর কন্নড় অঞ্চলের বিজেপি সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়ে। তিনি বলেন, 'দেশদ্রোহীতে ভরে গেছে বিএসএনএল। পূর্বে এটা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল, ভবিষ্যতে এটা বেসরকারি হাতে থাকবে।'
বিএসএনএল-এর পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, 'অনেকেই বিএসএনএল-এর পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানায়। উত্তর কন্নড় জেলায় তাও বিএসএনএল-এর পরিষেবা কিছুটা ভালো। বেঙ্গালুরুতে নেটওয়ার্কের অবস্থ খুবই খারাপ। এমনকী দিল্লিতে আমার বাসভবনে বিএসএনএল-এর কোনও নেটওয়ার্ক পাই না।'
বিএসএনএল দেশের একটা কলঙ্ক
এরপর তিনি আরও বলেন, 'এটা দেশের একটা কলঙ্ক। তাই আমরা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে বিএসএনএল বন্ধ করে দিতে চলেছি। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বিএসএনএল-এর পরিষেবা বদলে ফেলার সময় চলে এসেছে। আমরা বিএসএনএল-কে শোধরাতে পারব না। বিএসএনএল-এর পুরো ব্যবস্থা এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারও শোধরাতে পারছে না। দেশদ্রোহীতে বিএসএনএল ভরে গেছে। প্রত্যেক আধিকারিক ও কর্মী দেশদ্রোহী।'
বিএসএনএল-এর পর্যাপ্ত পরিকোঠামো রয়েছে
তিনি বলেন, 'সরকার পর্যাপ্ত টাকা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ভালো নেটওয়ার্ক চায়। বিএসএনএল-এ পর্যাপ্ত পরিকোঠামো রয়েছে। যা যা দরকার সব রয়েছে কিন্তু এরা কাজই করে না। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ভারতের কথা বলেছেন, যার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়া হচ্ছে।'
৮৫ হাজার কর্মচারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে
কিন্তু হেগড়ের অভিযোগ, 'প্রযুক্তি তৈরি কিন্তু এরা কাজ করতে রাজি না। ৮৫ হাজার কর্মচারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও অনেককে বাড়ি পাঠানো হবে। এটাই একমাত্র রাস্তা। আর কোনও উপায় নেই।'
সৌদি-পাক দূরত্ব বাড়ছে! কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বেতেও কোণঠাসা ইমরানের পাকিস্তান