গুজরাতে কারা পাবেন ভোটের টিকিট, বিজেপির জেতা নিশ্চিত করতে নতুন ফর্মুলায় যেতে পারেন অমিত শাহ
আসন্ন গুজরাত নির্বাচনে বর্তমান বিধায়কদের টিকিট নাও নিতে পারে বিজেপি নেতৃত্ব। শেষ কয়েকটি নির্বাচনে তেমনই ট্রেন্ড চলছে।
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার পালে যাতে হাওয়া না লাগে, ভোটে জেতা যাতে নিশ্চিত করা যায় সেজন্য আসন্ন গুজরাত নির্বাচনে বর্তমান বিধায়কদের টিকিট নাও নিতে পারে বিজেপি নেতৃত্ব। সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও ঘরের ছেলে তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ফর্মুলা আপন করে নিতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন:কংগ্রেস লড়াই করলেও, মোদীর রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপিই, ইঙ্গিত সমীক্ষায়]
আবার বর্তমান বিধায়কদের একাংশ মনে করছেন, রাজ্যে কিছুটা হলেও বিজেপি বিরোধী হাওয়া বইছে। এই অবস্থায় পরীক্ষিত বিধায়কদের সরিয়ে একেবারে নতুনদের এনে চমক দেওয়ার সাহস নেতৃত্ব দেখাবে না। তাহলে সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হওয়ার ভয় রয়েছে।
তবে ইতিহাস বলছে, ২০০৭ সালে ৪৭ জন বিধায়ককে টিকিট দেননি মোদী। ২০১২ সালে তা কমে ৩০-এ নেমে দাঁড়ায়। সেই ট্রেন্ড এবারও বজায় থাকে কিনা সেটাই দেখার। ২০০২ সালে মোদী যেবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এলেন সেবারও ১২১টি আসনের মধ্যে ১৮জন বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়নি।
এবছর শুধু কংগ্রেসই একা বিজেপি বিরোধিতায় শামিল হয়নি। সঙ্গে বেশ কয়েকটি সম্প্রদায়ের দলিত ও ওবিসি নেতারা রয়েছে। রয়েছেন প্যাটেল আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেল, যিনি বিজেপি বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব।
কংগ্রেস ইতিমধ্যে সমস্ত সিটিং বিধায়কদের টিকিট দেবে বলে ঘোষণা করেছে। এমনকী ৪৩টি আসনে প্রার্থীর নামও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এদিকে বিজেপি সেই পথে না হাঁটলে কী প্রতিক্রিয়া হবে তা বোঝা দুষ্কর। কারণ ক্ষত্রিয়, হরিজন, আদিবাসী ও মুসলমানদের দলে টানতে কংগ্রেস চেষ্টার কোনও কসুর করছে না। তাছাড়া পতিদারদের একটা বড় অংশের ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়তে চলেছে। এই অবস্থায় নতুনদের টিকিট দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত বিজেপি নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।