বিজেপি সদস্য এক লাফে কমেছে ৩ কোটি! লোকসভার আগে অমিত-বয়ানে উদ্বেগ
বুক বাজিয়ে যে কথা এতদিন বলতেন অমিত শাহ, তাঁর মুখেই শোনা গেল তিন বছরে তিন কোটি সদস্য কমেছে বিজেপির!
২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে নীরবে গেরুয়া অভিযান শুরু করেছিল বিজেপি। শুরু হয়েছিল মিসড কলে 'মেম্বারশিপ ড্রাইভ'। আর তার জেরে বিজেপির সদস্য সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়ায় ১১ কোটিতে। বুক বাজিয়ে যে কথা এতদিন বলতেন অমিত শাহ, তাঁর মুখেই শোনা গেল তিন বছরে তিন কোটি সদস্য কমেছে বিজেপির!
সম্প্রতি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বয়ানেই উঠে আসে এমন তথ্য। যা নিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতিতে নানা জল্পনা। তাহলে কি তিন বছরে মোদী সরকারের জনপ্রিয়তা ক্রমহ্রাসমান? তার ফলেই হু-হু করে কমছে বিজেপির সদস্য? দলের কার্যকারিনী সভায় বিজেপি সভাপতি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৮ কোটি। অমিত-বয়ানে এই পরিসংখ্যানের পরই চড়তে থাকে জল্পনার পারদ।
বিজেপি সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিল ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে। তার ছ'মাস পরে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন বিজেপির সদস্য সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। এই ছ'মাসে আমরা পৌঁছে গিয়েছি ৮.৮ কোটিতে। তার দু'মাস পরেই ফের বলেন, আমরা এখন ১১ কোটি। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি।
অমিতের এই মন্তব্যের পর বিজেপির তরফে দলের অন্যান্যা নেতারা বহুক্ষেত্রেই এমন দাবি করেছিলেন যে, আসলে বিজেপির সদস্যসংখ্যা আরও বেশি। দেশে কম করে ১৪ কোটি সদস্য রয়েছে বিজেপির। আর বিরোধীরা বিজেপির এই দাবিকে ফাঁপা ফানুসের সঙ্গে তুলনা করে এসেছে। বিরোধীরা বলতেন, মিসড কলের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল থাকতে পারে না, নেইও।
এতদিন পর বিরোধীদের সেই কথারই যৌক্তিকতা প্রতিফলিত হল অমিত শাহের ভাষ্যে। তিনি জানালেন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৮ কোটি। তাহলে তাঁর দেওয়ার পুরনো তথ্য অনুযায়ীই তিন বছরে তিন কোটি কমেছে সদস্য। কেননা ২০১৫ সালে ১১ কোটি ছিল বিজেপির সদস্য। বিরোধীদের কথায় ফানুসের হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে। তাই এক ধাক্কায় কমেছে তিন কোটি। বাস্তব দেখলে তা আরও কমে যাবে।
[আরও পড়ুন: মালিয়া কাণ্ডে জেটলির পদত্যাগ দাবি! মোদী সরকারের বিপদ বাড়ালেন এই বিজেপি নেতা]
বিজেপি অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের বিবৃতিতে প্রকাশ, এ বছর দলের সদস্য হিসেবে ১১ কোটি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। তার মধ্যে ৮ কোটি রেজিস্ট্রেশন যাচাই হয়ে গিয়েছে। রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে বাকি এখন তিন কোটি। সেই কথাই জানিয়েছেন সভাপতি। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যানের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে 'ফি' মকুব! নবান্নে বড় ঘোষণায় সুখবর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ]