বিজেপির ইস্তাহার : অর্থনীতিতে জোর, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই অযোধ্যায় রামমন্দির
ইস্তেহারে যে বিষয়গুলি উল্লেখযোগ্য তা হল, ক্ষমতায় এলে সবক্ষেত্রেই এফডিআইকে স্বাগত জানাবে বিজেপি। তবে মাল্টিব্যান্ড খুচরো ব্যবসায়ে বিদেশি বিনিয়োগে আপত্তির কথাও জানানো হয়েছে। বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরত আনার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে ন্যায়সংহিতার খসড়া তৈরির অঙ্গীকার নিয়েছে। রাম মন্দির নিয়ে বিজেপির পুরনো প্রতিশ্রুতি ফের এবারের ইস্তাহারে তুলে ধরা হয়েছে। অযোধ্যায় ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির গড়ে তোলা হবে। পুরোটাই সাংবিধানিক কাঠামো মাথায় রেখেই হবে বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। সীমান্ধ্র ও তেলেঙ্গানায় উন্নয়ন ও সুসরকারের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে।
মাল্টিব্র্যান্ড খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে না
এছাড়াও মূল অর্থনৈতিক নীতিগুলির উপর জোর দেওয়া, নয়া কম খরচের আবাসন প্রকল্প, বর্তমান করের পুনর্মূল্যায়ন, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করবে। কম খরচের আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে থাকার জন্য বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি সরকার। একইসঙ্গে বিজেপির ইস্তাহারে ১০০টি নতুন 'স্মার্ট সিটি'-র উল্লেখও রয়েছে। গ্রামীন শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া হয়েছে। কর আতঙ্কের শেষ করার জন্য কর ব্যবস্তার সরলীকরণের প্রতিশ্রুতি। জাতীয় সাধারণ বিক্রয় কর গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। রেলযোগাযোগ সম্প্রসারণেরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে ইস্তাহারে। বুলেট ট্রেন চালাতে রেলে চতুর্ভুজ প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সরকারি স্বাস্থ্য ব্য়বস্থা নিয়েও একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি রয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে। নতুন স্বাস্থ্যনীতি। প্রতিটি রাজ্যে এইমস তৈরির প্রস্তাব। সুগম-সাশ্রয়ী-কার্যকর স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল হেল্থ অ্যাসিউরেন্স মিশন গ্রহণও রয়েছে বিজেপির প্রতিশ্রুতির তালিকায়। প্রত্যেকটি জায়গার প্রত্যেকটি গ্রামে জল পৌছে দেওয়া বিজেপির গুরুত্বের তালিকায় থাকবে।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ক্ষেত্রেও সুর নরম করা হয়েছে। দিল্লিতে আজ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেন দলের প্রবীণ নেতা মুরলি মনোহর যোশী। সংবিধানের ৩৭০ ধারা সরাসরি বাতিল নয়, তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে। পারমাণবিক মতবাদের উপর পুর্নবিবেচনার কথাও জানানো হয়েছে।
ইস্তাহারে নতুন স্লোগান- এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত। একইসঙ্গে রাখা হয়েছে সর্বাত্মক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। ইউপিএ সরকারকে কটাক্ষ করে ইস্তাহারে দেওয়া হয়েছে নীতিপঙ্গুত্ব এবং দুর্নীতি দূরীকরণ এবং শাসন ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি। বিচারবিভাগীয় ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়েছে।
এদিন ইস্তাহার প্রকাশের পর বিজেপির তরফে রাজনাথ সিং বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে দেশের ২৫ টি দলের জৌট রয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় মানুষ আমাদের উপর আস্থা বাড়ছে।