জয়ের গন্ধ পেয়ে মরিয়া বিজেপি, ‘মিশন ত্রিপুরা’য় লাল-পার্টিকে খর্ব করতে প্রস্তত পরিকল্পনা
গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে বিজেপি জয়যুক্ত হওয়ার পর এবার টার্গেট উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড। তার মধ্যে বিজেপি মূল লক্ষ্য করেছে ত্রিপুরাকে।
সম্প্রতি গুজরাট বিধানসভায় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ে শেষমেশ জয়ের হাসি হেসেছে মোদী-শাহ জুটি। হিমাচল প্রদেশও রীতি মেনে বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেসের কাছ থেকে। এবার বিজেপির টার্গেট উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড। তার মধ্যে বিজেপি মূল লক্ষ্য করেছে ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরায় ইতিবাচক সাড়া পেয়েই পুরো নেতৃত্বে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী একবার প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন ত্রিপুরায়। কিন্তু এই একবার এসেই তিনি জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছেন। এরপরই অমিত শাহের সঙ্গে পরামর্শ করে ত্রিপুরায় ভোট প্রচারকে তুঙ্গে তুলে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোট কথা বিজেপি ত্রিপুরা দখলে মরিয়া। এখানে তাঁদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেই। আছে সিপিএম। সেই লাল পার্টির ২৪ বছরের শাসনের ইতি ঘটাতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।
সেই কারণে যেমন মুকুল রায়কে প্রথমে ব্যবহার করা হবে না বলে স্থির করেছিল বিজেপি, কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাঁকে ভোট কৌশল নির্ধারণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে। তেমনই নরেন্দ্র মোদী ফের ত্রিপুরায় প্রচারে আসার ব্যাপারে মনস্থ করেছেন। মিশন ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে মোদী ছাড়াও আসছেন অমিত শাহ, অরুণ জেটলি, যোগী আদিত্যনাথ, হেমামালিনী, পেমা খাণ্ডু, সর্বানন্দ সোনোয়াল প্রমুখ।
বিজেপির সর্বভারতী সম্পাদক রাম মাধব ইতিমধ্যেই বিজেপির হেভিওয়েটদের প্রচার কর্মসূচি স্থির করে ফেলেছেন। নরেন্দ্র মোদী ১৫ ফেব্রুয়ারি শান্তিবাজার ও আগরতলায় সভা করবেন। অমিত শাহ ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি একাধিক সভা করবেন। আর অরুণ জেটলি ১১ ফেব্রুয়ারি ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করে বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। একইসঙ্গে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০টিরও বেশি জনসভা করবেন যোগী আদিত্যনাথ, হেমা মালিনী, পেমা খান্ডু, সর্বানন্দ সোনোয়াল-রা।
ত্রিপুরায় এর আগে বিজেপির কোনও ভিত্তিই ছিল না। কিন্তু কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল। আবার সেই তৃণমূল ভেঙে এই রাজ্যে হঠাৎ বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে বিজেপির। একটি আসনও না জিতে বিজেপি হয়ে উঠেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। আর তারপরই সিপিএমকে হটাতে বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়ে। কংগ্রেস রণে ভঙ্গ দিয়েছে, তৃণমূলও এখানে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। এখন মূল লড়াই সিপিএম বনাম বিজেপির।