কাশ্মীরেও গেরুয়া ঝড়! লোকসভার আগে একের পর এক পুরসভা জিতল মোদীর দল
জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে ইতিহাস। কাশ্মীর উপত্যকায় প্রথমবারের জন্য অন্তত সাতটি পুরসভার পরিচালনার ভার যাচ্ছে বিজেপির হাতে। সাতটি পুরসভাতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির প্রার্থীরা।
জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে ইতিহাস। কাশ্মীর উপত্যকায় প্রথমবারের জন্য অন্তত সাতটি পুরসভার পরিচালনার ভার যাচ্ছে বিজেপির হাতে। সাতটি পুরসভাতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির প্রার্থীরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করে ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি স্থানীয় নির্বাচন বয়কট করেছে।
কমপক্ষে ৬০ জন বিজেপি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যার বেশিরভাগই জঙ্গি হামলা অধ্যুষিত দক্ষিণ কাশ্মীরের। পাঁচটি জেলার কুড়িটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভায় ভোট হতে পারে। যেসব পুরসভা গুলিতে বিজেপিকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে, সেগুলি হল, দক্ষিণ কাশ্মীরের দেভসার, কাজিগুণ্ড, পহেলগাঁও, আসমুকাম এবং উত্তর কাশ্মীরের সোপিয়ান এবং সোপর।
শ্রীনগরে বিজেপির মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর জানিয়েছেন, উপত্যকার ১০ টি জেলায় পুরসভার ৬০০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫০ টিতে তাঁদের প্রার্থীরা রয়েছেন। যার মধ্যে ৬০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ছয়জন কাশ্নীরি পণ্ডিত রয়েছেন।
নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে মনোনয়ন দাখিলের পর প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। এঁদের মধ্যে থেকে প্রার্থীদের বেছে নিতে হবে বলে জানিয়েছএন বিজেপির মুখপাত্র। মানুষ গণতন্ত্রের ওপর আস্থা দেখিয়েছেন। ফলে তাঁদের আকাঙ্খার বিষয়টিও তাঁদেরই দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮, ১০, ১৩, ১৬ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্নীরের ৬২৪ টি ওয়ার্ডে চার পর্যায়ে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
[আরও পড়ুন:কংগ্রেসের অভিযোগ! ধাক্কা খেল মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প]
ফারুক আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং মেহবুবা মুফতির পিডিপি নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানো পুরসভাগুলিতে বিজেপির ক্ষমতা দখলের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে না সরে গেলেও, বহু আসনেই কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি। এমনই একটি পুরসভা হল সোপর। যেখানে কংগ্রেস বিধায়ক থাকলেও ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেখানে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি।
২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন সংক্রান্ত সব থেকে বড় ঘটনাটি ঘটে। যেখানে জঙ্গি ফারুক আহমেদ খান ওরফে সইফুল্লা অস্ত্র তুলে রেখে বিজেপির তরফে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করেন। তিনি পুরনো শ্রীনগরের একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। আগে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। কিন্তু তিনি মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন:নাগেরবাজার বিস্ফোরণে কারা দায়ী 'ইঙ্গিত' করলেন মমতা! বললেন সজাগ থাকতে]
এদিকে উপত্যকায় সব থেকে বড় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের তরফে প্রার্থীদের ওপর অ্যাসিড হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।