কর্নাটকের মসনদে থাকছেন ইয়েদুরাপ্পাই, উপনির্বাচনে ১২টি আসনে এগিয়ে বিজেপি
সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় কর্নাটক উপনির্বাচনের ভোটগণনা। আর প্রাথমিক প্রবণতা সামনে আসতেই পরিস্কার হয়ে যায় যে কর্নাটকের মসনদে থাকছেন ইয়েদুরাপ্পাই। বর্তমানে ১৫টির মধ্যে ১২টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। দুটি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। জেডিএস একটিতেও এগিয়ে নয়। একটি আসনে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী।
৫ ডিসেম্বর ১৫ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
৫ ডিসেম্বর ১৫ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২২৪ আসনের বিধানসভায় আপাতত বিজেপির পক্ষে সমর্থন রয়েছে দুই নির্দল বিধায়ক সহ ১০৭ জনের। অন্যদিকে কংগ্রেস ও জেডিএস-এর আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৬৬ ও ৩৪। সেই ক্ষেত্রে সরকার টিকিয়ে রাখতে বিজেপির দরকার ছিল অন্তত ৬টা আসনের। সেই দিক দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন ইয়েদুরাপ্পা। যদিও ফল প্রকাশের আগে বিজেপি দাবি করেছিল যে ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি তারাই দখল করবে। আপাতত যা প্রবণতা তাতে সরকার টিকে যাবে বিজেপির।
ম্যাজিক ফিগার থেকে এগিয়ে বিজেপি
যেই ১৫টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে ১২টি আসন ছিল কংগ্রেসের দখলে। বাকি তিনটি ছিল জনতা দল সেকুলারের দখলে। এই উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও জেডিএস আলাদা করে লড়াই করেছিল। জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পরে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। যাতে আরও সুবিধা পেয়ে যায় বিজেপি। ১০টি আসন বিজেপির দখলে আসায় তাদের মোট বিধআয়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫-তে। সঙ্গে রয়েছে দুই নির্দলের সমর্থন। সেই ক্ষেত্রে ম্যাজিক ফিগার ১১৩-র থেকে ৬টি আসন বেশি থাকবে পদ্ম শিবিরের ঝুলিতে।
জুলাইতে আস্থা ভোটে পরাজিত হন কুমারস্বামী
জুলাইতে ৪ দিনের নাটক শেষে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ১৪ মাসের মধ্যেই পতন হয়েছিল কর্নাটকের কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলারের জোট সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি-র বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সেই সময় বিধায়ক কেনাবেচা ও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। আঙ্গুল উঠেছিল অমিত শাহের উপর।
কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন জোটের ১৫ বিধায়ক
ঘোড়া কেনাবেচা-দুর্নীতি-অসহযোগিতা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন জোট সরকারের ১৫ জন বিধায়ক। পরে সেই দলে যোগ দেন আরও দুই নির্দল বিধায়ক। কর্নাটক ছেড়ে মুম্বইতে এসে থাকতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। এর পরেই শুরু হয় আস্থাভোট নিয়ে জল্পনা । বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে ২৩ জুলাই আস্থা ভোটে পরাজিত হয় কুমারস্বামীর জোট সরকার। ম্যাজিক ফিগার ১০৫ হলেও জোট সরকারের দখলে আসে মাত্র ৯৯টি ভোট।