বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদত্যাগ, পুরনির্বাচনে হারের ধাক্কায় ইস্তফা দিল্লি ইউনিট প্রধানের
বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদত্যাগ, পুরনির্বাচনে হারের ধাক্কায় ইস্তফা দিল্লি ইউনিট প্রধানের
নির্বাচনের হারের দায় নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়লেন আদেশ গুপ্তা। সম্প্রতি দিল্লি পুর নিগমের নির্বাচনে আম আদমি পার্টির কাছে হার মানে বিজেপি। সেই হারের ধাক্কায় দিল্লি ইউনিট প্রধান ইস্তফা দেন রবিবার। এর আগে আপের কাছে ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনেও শোচনীয় পরাজয় ঘটে বিজেপির।
বিগত ১৫ বছর ধরে দিল্লি পুর নিগমে ছিল বিজেপির দখলে কংগ্রেসি আমল থেকে বিজেপি পুরসভা দখল রাখতে পেরেছিল। আম আদমি পার্টি ২০১৫ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার পরও দিল্লি পুরসভার দখল থেকে পিছু হটেনি বিজেপি। কিন্তু এবার তাদের হার মানতে হয়েছে। আম আদমি পার্টি যেমন কংগ্রেসকে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর দিল্লি বিধানসভা থেকে হটিয়ে দিতে পেরেছিল, এবার বিজেপিরও ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে দিল্লি পুরসভা থেকে।
এই হারের ধাক্কা সামলাতে পারেনি বিজেপি। দিল্লি এমসিডি নির্বাচনের কয়েকদিন পরই তাই সেই হারের দায় মাথায় নিয়ে সরে দাঁড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি আদেশ গুপ্তা। তিনি পদত্যাগ করলেন রাজ্য সভাপতির পদ থেকে। তিনি সরে দাঁড়ানোয় এবার তাঁর জায়গায় রাজ্য সভাপতি হতে পারেন বীরেন্দ্র সচদেবা।
বীরেন্দর সচদেবা বর্তমানে দিল্লির বিজেপি ইউনিটের সহ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হতে পারে। আম আদি পার্টি দিল্লি এমসিডি নির্বাচনে বিপুল জয়লাভের পর দিল্লিকে ১২টি জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চারজন সিনিয়র নেতাকে তিনটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চার সিনিয়র নেতাকে। আম আদমি পার্টি এমন অভিনব সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর বিজেপিও এবার নতুন করে দিল্লিতে দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রকে সাজাবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দিল্লির পুরসভা নির্বাচনের বা সিভিক বডি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর আম আদম পার্টি চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসে। বিজেপির বিরুদ্ধে ফের ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ করে আপ। আপ দাবি করে, দিল্লির ১০ জন কাউন্সিলর কিনতে ১০০ কোটি টাকা নিয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। আপ কাউন্সিলররা বিজেপির মেয়র নির্বাচনে ক্রস-ভোট করার জন্য হুমকি দিয়েছেন। তাঁরা অনেকেই ৫০ লাখের প্রস্তাব পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।
আপ যখন বলেছে সম্প্রতি দিল্লি পুর নিগমের নির্বাচনে প্রায় ৩০টি আসন কম পাওয়া সত্ত্বেও বিজেপি বোর্ড গড়ার নোংরা খেলা শুরু করেছে, তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদত্যাগ তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন রাজ্য সভাপতিকে এনে বিজেপি আবার অন্য খেলা শুরু করেন কি না, সে বিষয়েও সতর্ক থাকছে আপ।
পাহাড়ে ব্যাকফুটে তৃণমূল! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গুরুং-তামাং সখ্যতায় বদল সমীকরণে