যশবন্ত সিনহা গ্রেফতার, ১৪ দিনের হেফাজতে
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। হাজারিবাগে ইদানীং খুব লোডশেডিং হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদকে চিঠি লিখেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চড়াও হন ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অফিসের হাজারিবাগ শাখায়। জেনারেল ম্যানেজার ধনেশ ঝা-কে বিজেপি কর্মীরা গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। দলের মহিলা কর্মীরা ধনেশ ঝা-কে ধাক্কাধাক্কিও করে। এর পরই যশবন্ত সিনহার নির্দেশে ওই অফিসারকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। দীর্ঘক্ষণ চলে এই অবস্থা। শেষে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তারাই বিজেপি কর্মীদের খপ্পর থেকে ধনেশ ঝা-কে উদ্ধার করে।
এই ঘটনাকে 'অপমানজনক' আখ্যা দিয়ে তিনি যশবন্ত সিনহা ও ৫৪ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান। মামলা রুজু হয়। সেই সুবাদে মঙ্গলবার আদালত ডেকে পাঠায় অভিযুক্তদের। কিন্তু যশবন্ত সিনহা ও তাঁর অনুগামীরা জামিন নিতে অস্বীকার করেন। তাই বিচারক আর বি পাল তাঁদের গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার হওয়ার পর যশবন্ত সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, "হ্যাঁ, আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমিই মহিলাদের বলেছিলাম, জেনারেল ম্যানেজারকে বেঁধে ফেলতে। কারণ মেয়েদের সারাদিন বাড়িতে থাকতে হয়। ওঁরাই ভোগেন সবচেয়ে বেশি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বাচ্চাদের পড়াশুনোরও ক্ষতি হচ্ছে।"
স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা এদিন যশবন্ত সিনহার সমর্থনে স্লোগান দেন। আদালতের বাইরেও ছিল বিজেপি কর্মীদের থিকথিকে ভিড়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।