বুক কাঁপছে বিজেপির, ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ, প্রমাদ গুণে আগেই সমাধান দাবি তেজস্বী সূর্যর
বুক কাঁপছে বিজেপির, ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ, প্রমাদ গুণে আগেই সমাধান দাবি তেজস্বী সূর্যর
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক, টুইটার অ্যাকাউন্স পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করেছে দুই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। তাতেই ভয়ে বুক কাঁপছে বিজেপির। ভারতেও কী হাতলে এমনই পদক্ষেপ করতে পারে ফেসবুক, টুইটার। তাই আগে থাকতেই দুই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফার্মের পদক্ষেপ কার আটকাতে কড়া আইন আনার পরামর্শ গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তিনি দাবি করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার এই পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করে। কাজেই ভারতে এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আগে থেকে এর জন্য পদক্ষেপ করা জরুরি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে ভারতে নিযুক্ত ফেসবুকে আধিকারিকের সঙ্গে বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণেই বিজেপি নেতাদের একাধিক উস্কানি মূলক বক্তব্য ও ভিডিও সাসপেন্ড করা হয়নি। তাতে দিল্লির হিংসা ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার সাসপেন্ড
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার আগে ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও পাকাপাকি ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে ট্রাম্পের টুইটে নতুন কিছু পোস্ট হলে ফেস হিংসা ছড়াতে পারে আমেরিকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ট্রাম্পের টুইটের পরেই মার্কিন সংসদের হামলার ঘটনা ঘটেছিল। যার জেরে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছিল ওয়াশিংটনে।
উদ্বেগ বাড়ছে বিজেপি
যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে পাকাপাকি তাহলে ভারতের বিজেপি নেতাদের টুইটার, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা তো একেবারে জলভাত বলা চলে। সেই আশঙ্কা করেই এখন প্রমাদ গুণছে বিজেপি। আগে থেকেই তাই এই নিয়ে কেন্দ্রকে সচেতন করলেন বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তিনি দাবি করেছেন ফেসবুক, টুইটারের এই পদক্ষেপ রীতি মতো চিন্তার। গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে এই সব টেক জায়েন্টদের পদক্ষেপে।
তেজস্বীর দাবি
বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য দাবি করেছেন ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের উচিত এই নিয়ে আরও বেশি করে সচেতন হওয়া। এবং ভারতে যাতে টেক জায়েন্টগুলি এই নিয়ে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে না পারে তার জন্য কড়া আইন তৈরি করা জরুরি। নইলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে। এই সোশ্যাল মিডিয়ায় সংস্থাগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি। তাই নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
ঘুম উড়েছে বিজেপির
বিজেপির ঘুম উড়েছে এই ঘটনায়। কারণ দিল্লির হিংসার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ার একাধিক পোস্টে বিজেপি নেতারা হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ভারতে নিযুক্ত ফেসবুক অাধিকারিকের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাঁতের কারণে একাধিক প্ররোচনা মূলক বার্তা ও ভিডিও আটকানো হয়নি বলে অভিযোগ। এক প্রকার বিজেপির হয়ে ফেসবুকে প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।