প্রকাশ্য সভায় স্থানীয় প্রশাসনের সামনে বিজেপি নেতার গুলিতে মৃত যুবক, ফের অস্বস্তিতে যোগী সরকার
প্রকাশ্য সভায় স্থানীয় প্রশাসনের সামনে বিজেপি নেতার গুলিতে মৃত যুবক, ফের অস্বস্তিতে যোগী সরকার
একের পর এক অপরাধ হয়েই চলেছে উত্তরপ্রদেশে। অথচ উদাসীন যোগী সরকার। এবার তো খোদ স্থানীয় প্রশাসনের সামনে এক বিজেপি নেতার গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বালিয়া জেলায় রেশন দোকান বন্টন নিয়ে বৈঠকে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিজেপি নেতা গুলি চালিয়ে বসে সভার মাঝে। বিজেপি নেতার গুলি চালানোর পর ঘটনাস্থলে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই ফাঁকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত নেতা ধীরেন্দ্র সিং। খুন হওয়া যুবকের নাম জয়প্রকাশ পাল বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনা ঘটে বালিয়া জেলার রিওতি অঞ্চলের দুর্জনপুর এলাকায়। সভায় আসা স্ব–নির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা হওয়া সত্ত্বেও বৈঠকে উপস্থিত উপ–বিভাগীয় জেলা শাসক এগিয়ে আসেননি। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়। বালিয়ার এসপি দেবেন্দ্র নাথ বলেন, 'সবা চলাকালীন দুই দলের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। তদন্ত চলছে।’ জানা গিয়েছে, আক্রান্তের ভাই চন্দ্রমা ১৫–২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
এই ঘটনার পর পরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্থানীয় উপ–বিভাগীয় জেলা শাসক সুরেশ পাল, সার্কেল অফিসার চন্দ্রপ্রকাশ সিং ও সভায় উপস্থিত পুলিশের কর্মীকে বহিষ্কার করে দেন। তিনি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। লখনউতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখ্য সহ সচিব অবনীশ কুমার অওয়াস্তি জানিয়েছেন যে সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে এবং যদি তাঁরা দোষী হন তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার। গ্রামে আইন–শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের আইন–শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলেরা।
নিজে নিরাপদে থেকে রাজ্যবাসীকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, মমতার পুজো উদ্বোধন নিয়ে আক্রমণ সুজনের