রাজ্যের উপর নজর অমিত শাহর, ২০২১-এ উল্টে যাবে রাজ্যপাট! মমতাকে চরম হুশিয়ারি বিজেপির
বাংলায় যুদ্ধের দামামা যেন বেজে গিয়েছে পুরভোট কাছে আসতেই। আর সেই যুদ্ধে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ার কথা ভাবছে না। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এপ্রিসল মাসে থেকে রাজ্যে তিনদিন কাটাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেপ্টেম্বর থেকে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ৭। আর সেই আবহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০২১ নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব।
পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে মরিয়া বিজেপি
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে চোখ ধাঁধানো ফল করলেও তার পর থেকে একের পর এক নির্বাচনে হেরে চলেছে বিজেপি। এরই মধ্যে দেশের অন্যান্য প্রান্তে বিজেপির শোচনীয় হার, মহারাষ্ট্রে জোট শরিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে ক্ষমতা হাতছাড়া তো রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও উপায়ে পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে মরিয়া মোদী-শাহরা। আর সেই উদ্দেশ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার বার্তা দিলেন রাম মাধব।
মমতাকে হুঁশিয়ারি রাম মাধবের
এদিন পদ্মশিবিরের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের কণ্ঠে শোনা গেল তৃণমূল বিরোধী হুঙ্কার। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ার করে দিয়ে দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরিয়ে দেবে বিজেপি। এ রাজ্যে বিজেপির জমি শক্ত করার চেষ্টা করছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাঁর পাশে রয়েছেন বিজেপির সব পোড়খাওয়া নেতারাও। বাংলার পিছনে যথেষ্ট সময়ও দিচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
রাজ্যে আসা বাড়িয়ে দেবেন অমিত শাহ
এই বিষয়ে রাম মাধব বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে, আমরা আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই ওই রাজ্যে অনেক সময় ব্যয় করছেন এবং অন্যান্য প্রবীণ নেতারাও তাঁর সঙ্গে সেখানে বিজেপির জমি শক্তি করার চেষ্টা করছেন। আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা বাংলায় জয় পাওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারব বলে আশা করি। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই সরকার গঠন করবে।'
অসম নিয়ে আশার বাণী রাম মাধবের গলায়!
এদিন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব আরও বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি যে অসমেও এনডিএ সরকার আগামী বছরের নির্বাচনে জিতে ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। আমরা প্রচুর কাজ করেছি এবং নরেন্দ্র মোদীও প্রচুর পরিমাণে কাজ করেছেন। আমরা অসমে জয় পাওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।'