আদালত তুলেছে 'সুরক্ষা'! জমি দখল মামলায় বিপাকে বিজেপির অন্যতম সহ সভাপতি
আদালত তুলেছে 'সুরক্ষা'! জমি দখল মামলায় বিপাকে বিজেপির অন্যতম সহ সভাপতি
জমি দখল মামলায় বিপাকে পড়েছে বিজেপির অন্যতম সহ সভাপতি জয় পণ্ডা(jay panda)। ওড়িশা হাইকোর্ট ৬ নভেম্বর জয় পণ্ডা ও তাঁর স্ত্রীকে সুরক্ষা দিয়ে যে রায় দিয়েছিল, নতুন রায়ে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ৬ নভেম্বরের রায়ে ওড়িশা হাইকোর্ট জানিয়েছিল ওড়িশা পুলিশ ১২ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে পারবে না।
আইন অমান্য করে জমি কেনার অভিযোগ
বিজেপির অন্যতম সহ সভাপতি জয় পণ্ডা এবং তাঁর স্ত্রী মঙ্গত পণ্ডা ওটিভির মালিক। তাঁরা ওড়িশা ইনফোটেক প্রাইভেট লিমিটেডের প্রোমোটর এবং বড় শেয়ার হোল্ডার। খুরদা জেলার সারুয়া গ্রামে তফশিলি জাতির সদস্যদের কাছ থেকে আইন অমান্য করে সাত একর জমি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।
সুরক্ষা তুলে নিয়েছে আদালত
ওড়িশা হাইকোর্ট এব্যাপারে রায় দিতে গিয়ে ৬ নভেম্বর জানিয়েছিল ১২ নভেম্বর পর্যন্ত জয় পণ্ডা এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করতে পারবে না। কিন্তু শুক্রবার নতুন করে রায় দিয়ে হাইকোর্ট সেই সুরক্ষা তুলে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওড়িশা ইনফোটেক এফআইআর বাতিলের যে আবেদন করেছিল তাও খারিজ করে দিয়েছে। তদন্ত বাকি থাকা এবং এই ধরনের ফৌজদারি মামলায় আদালত হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। এর পাশাপাশি এই মামলায় যে অন্তর্বতী আদেশ আদালত দিয়েছিল, তাও তুলে নিয়েছে।
ওড়িশা ক্রাইম ব্রাঞ্চের অভিযোগ
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল ডিজি সৌমেন্দ্র প্রিয়দর্শী জানিয়েছিলেন, ওড়িশা ইনফোটেক প্রাইভেট লিমিটেড বেনামি লেনদেনে জড়িত। বিজেপির সহ সভাপতি জয় পণ্ডা এবং তাঁর স্ত্রী এই সংস্থার প্রোমোটার এবং বড় শেয়ার হোল্ডার বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বেনামি লেনদেনের তদন্তে রাজ্য পুলিশের এক্তিয়ার না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, বিষয়টি আয়কর বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে জমি কেনা হয়েছিল
২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে খুরদা জেলার সারুয়া এলাকায় তফশিলি জাতির সদস্যের মালিকানায় থাকা ৭ একর জমি কেনা হয়েছিল। যা দাম দেওয়া হয়েছিল তা সরকার নির্ধারিত দামের থেকে অনেকটাই কম দামে। জমি কেনা হয়েছিল রবি শেঠির নামে। সংস্থার এক ডিরেক্টরের গাড়ির চালক এই রবি শেঠি। কিন্তু জমির মালিকানা কখনই রবি শেঠির অধীনে যায়নি। তা সংস্থার অধীনে চলে যায়। জানিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
ওড়িশার ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী তফশিলি জাতিদের জন্য নির্ধারিত জমি অতফশিলি কেউ কিনতে পারেন না। সেই আইনকে বাইপাস করতেই রবি শেঠিকে ব্যবহার করা হয়েছিল কেননা তিনি এসসি সম্প্রদায় ভুক্ত। তাঁর নামে জমি কেনার পর তা পরিবর্তন করে দেওয়া হয় ওড়িশা ইনফোটেক প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। রবি শেঠির মাস মাইনে ৮ হাজার টাকা। কিন্তু এই জমির হাতবদলের পিছনে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
ওড়িশা
সরকার
জমি
কেলেঙ্কারিতে
তদন্তের
নির্দেশ
দেওয়ার
পরে
এই
কোম্পানির
অন্যতম
ডিরেক্টর
মনোরঞ্জন
সারেঙ্গি
এবং
শিবপ্রসাদ
শ্রীচন্দন
নামে
এক
ব্যক্তিকে
গ্রেফতার
করেছিল।
এব্যাপারে
মন্তব্য
করতে
গিয়ে
ওটিভির
তরফে
বলা
হয়েছে,
গত
দুমাসে
ওড়িশা
পুলিশ
ওটিভির
বিরুদ্ধে
২০
টি
মিথ্যা
মামলা
দায়ের
করেছে।
২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমল! কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি ভাবাচ্ছে হুগলি,নদিয়া