বিজেপির ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় পান্ডা পড়তে পারেন মহাবিপাকে! পুরীতে কী ঘটে গিয়েছে
বেশ কয়েকদিন ধরেই ওড়িশার রাজনীতি তোলপাড় খেয়েছে বিজেপির ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট বৈজয়ন্ত পান্ডাকে ঘিরে। জয় পান্ডা হিসাবে পরিচিত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মূলত ওড়িশায় বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সংস্থার জমি দখল ঘিরে নবীন পট্টনায়ক সরকারের রোষানলে রয়েছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই ওড়িশার সারুয়া গ্রামে একটি দখল ঘিরে তাঁর সংস্থার নাম প্রকাশ্যে আসে। এবার সেই মামলায় অভিযুক্ত জয়ের সংস্থার প্রাক্তন এক গাড়ি চালক একাধিক তথ্য খোলসা করেছে। নিজে মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সে একাধিক অভিযোগ এনেছে এক ভিডিও বার্তায়।

কী ঘটেছে পুরীতে!
ওড়িশার খুরদায় সরুয়া গ্রামে অবৈধ দখলের অভিযোগ আগেই ছিল বিজেপি নেতা তথা ওটিভির মালিক জয় পান্ডার সংস্থা 'ওড়িশা ইনফ্রাটেক' এর বিরুদ্ধে । এবার এই একই ছকে জগন্নাথ ধাম পুরীতেও জমি দখলের পথে জয় পান্ডা হাঁটছেন বলে জানিয়েছে সারুয়া কান্ডে অভিযুক্ত চালক। ওই অভিযপক্ত চালক এক ভিডিও বার্তায় এমন তথ্য জানিয়েছে। এমনই খবর পরিবেশিত হয়েছে এক নামী ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে।

বৈজয়ন্তের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ
সরুয়া গ্রামে তফশিলি জাতির আওতায় থাকা জমি ওই গাড়ি চালকের নাম ভাঙিয়ে জয় পান্ডা নিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন চালক।
প্রসঙ্গত, এই গাড়ি চালক নিজেও তফশিলি জাতিভূক্ত। অভিযুক্ত জানায়, তাকে না জানিয়েই জয় পান্ডা এই সমস্ত করেন।

জমি দখলের ঘিরে বিবাদ কেন?
মূলত, ওড়িশায় কিছু জমি তফশিলি জাতিভূক্তরাই অধিকারে নিতে পারবেন বলে বিধি রয়েছে। তা হস্তান্তর বা বিক্রির ক্ষেত্রেও একই জাতিভূক্তকেই দিতে হবে। আর সেই কারণেই জয় পান্ডা গাড়ির তফশিলি জাতিভূক্ত চালককে দিয়ে এই সমস্ত জমি কিনিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ জয় নিজে তফশিলি নন। এমনই অভিযোগ ওই গাড়ির চালক জানায়।

জয়ের বিরুদ্ধে তোপ
ওই গাড়ি চালকের দাবি, সে মাসে ৮০০০ টাকা রোজগার করে। অথচ তার নামে ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জমি রয়েছে। যে জমির বিষয়ে সে নিজেও জানেনা। বিষয়টি সে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসককে জানিয়েও লাভ পায়নি বলে দাবি করে।