আরও অস্বস্তিতে মোদী সরকার, হরিয়ানায় কৃষক বিক্ষোভে যোগ হেভিওয়েট বিজেপি নেতার!
এবার কৃষক প্রতিবাদকে সমর্থন জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা চৌধুরী বিরেন্দ্র সিং। বিক্ষোভকারী কৃষকদের একটি ধর্নাতেও যোগ দেন। হরিয়ানার ঝাঝার জেলার সেই ধর্নাতে বিরেন্দ্র সিং যোগ দিতেই আরও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। জানা গিয়েছে বিরেন্দ্র সিং এই বিক্ষোভকে জনগণের আন্দোলন আখ্যা দিয়ে দিল্লি সীমানাতেও যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আমি কৃষকদের পাশেই রয়েছি
এই বিষয়ে বিরেন্দ্র সিং বলেন, 'আমি কৃষকদের পাশেই রয়েছি। এই আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমিও তাই মাঠে নেমেছি। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমি সামনের সারিতে থাকতে চাই। আমি রাজনীতি করতে আসিনি। আজ আপনি যেকোনও সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেই সবাই বলবে, তাঁরা কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বিগ্ন।'

প্রতিবাদ জানানো সাংবিধানিক অধিকার
এদিকে সুপ্রিমকোর্ট এই আন্দোলন প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বলেছেন, প্রতিবাদ জানানো সাংবিধানিক অধিকার৷ যতক্ষণ না তার জেরে সম্পত্তি নষ্ট বা প্রাণহানি হচ্ছে৷ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে৷ আমরা এতে হস্তক্ষেপ করতে পারি না৷ তবে, আন্দোলন করার ধরনের উপর নজর রাখা হবে৷ কেন্দ্রকে বলা হবে যাতে আন্দোলনের গতিবিধির উপর নজর রাখে৷ এর ফলে যেন গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াইয়ের উপর কোনও প্রভাব না পড়ে৷

কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে কথা হওয়া উচিত
প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে কথা হওয়া উচিত৷ কোনওরকম প্রভাবমুক্ত, স্বতন্ত্র একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ যেখানে দুই পক্ষ থেকেই তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে৷ কমিটির তরফে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা-ই মানতে হবে৷ ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখা যেতে পারে৷ সেই স্বতন্ত্র কমিটিতে থাকতে পারে ভারতীয় কিষান সংগঠনের পি সাইনাথ ও অন্য সদস্যরা৷

বিষয়টি সমাধানের জন্য কমিটি গঠন করার চেষ্টা
সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ, কোনও শহরকে এভাবে আটকে রাখতে পারেন না কেউ৷ দিল্লিকে এভাবে আটকে রাখলে দিল্লিবাসীর খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে৷ কৃষকদের সমস্যা কথা বলেও সমাধান করা যেতে পারে৷ আমরাও ভারতীয়৷ আমরা এই মামলার প্রতি সংবেদনশীল৷ কৃষকদের অবস্থা বুঝতে পারছি৷ এই বিষয়টি সমাধানের জন্য কমিটি গঠন করার চেষ্টা করছি৷