‘নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাতেই বিহারে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ জোট’, আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ
করোনা আবহের মধ্যেই গোটা বিশ্বের নজর যখন ৩রা নভেম্বরের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে তখনই ভারতের মাটিতে ক্রমেই চড়ছে মার্কিন নির্বাচনের পারদ। করোনা মোকাবিলা থেকে বন্যা, পরিযায়ী সঙ্কট সহ একাধিক ইস্যুতে বিহারের রাজনৈতিক মানচিত্রে গত কয়েক মাসে বেশ খানিকটা বেকায়দায় বিজেপি-জেডিইউর এনডিএ জোট সরকার। কিন্তু এমতাবস্থায় বিহারে ফের ক্ষমতা দখল প্রসঙ্গে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা গেরুয়া শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখ অমিত শাহ।

দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথেই বিহারে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ
এদিকে আগামী ২৮শে অক্টোম্বর, ৩রা নভেম্বর ও ৭ই নভেম্বর তিন দফায় ভোট গ্রহণ হতে চলেছে বিহারে। তার আগেই শেষ মহূর্তের ভোটপ্রচারে কোমর বেঁধে নেমেছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। এমতাবস্থায় অমিত শাহের স্পষ্ট বক্তব্য, "দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথেই ফের আমরা বিহারের ক্ষমতায় আসছি। নীতীশ কুমারই হবেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। ফলাফলও খুবই ভাল হবে।"

মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েই মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা, তোপ অমিতের
গতকালই সাংবাদমাধ্যমের বিশেষ সাক্ষাৎকার বিহার ভোট সম্পর্কে বলতে অমিত শাহকে আরও বলতে শোনা যায়, " এত চিন্তার কিছু নেই। সমস্ত সামাজিক সমীকরণগুলিও আমাদের পক্ষে রয়েছে। " ভোটপূর্বে রাজ্যে নীতীশের করা একাধিক উন্নয়নমূলক কাজই বিহারে পুনরায় ক্ষমতা দখলে জন্য এনডিএ জোটের পক্ষে সহায়ক হবে বলে মত অমিতের। উল্টে বিরোধী মহাজোট শুধুমাত্র মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েই মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলেই মত বিজেপি-র সেকেন্ড ইন কমান্ডের।

বিহারবাসীর মনে আলাদা করে নিয়েছ এনডিএ সরকারের কাজ
এই প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহকে আরও বলতে শোনা যায়, "আমি মনে করি এনডিএ সরকারের একাধিক জনদরদী কাজ ইতিমধ্যেই বিহারের মানুষের মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। আর এটাই আসন্ন নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে আমাদের জিততে অনেকটাই সাহায্য করবে।"

কংগ্রেস-আরজেডিকেও তুলোধনা অমিতের
এখানেই না থেমে বিহার ভোট প্রসঙ্গে কংগ্রেস ও আরজেডিকেও তুলোধান করেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, " বিহারের মানুষ অবশ্যই এর আগে কংগ্রেস ১০ বছরের শাসন, লালুপ্রসাদ যাদবের ১৫ বছর সঙ্গে নীতীশ কুমারের ১৫ বছরের তুলনা করবে। এতে কিছু ভুল নেই। কিন্তু মসনদে বসেই দীর্ঘকাল ধরে বিহারকে কার্যত শেষ করে দিয়েছে কংগ্রেস-আরজেডির রাজনীতি।"
দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ! এসএসকেএম-এ মৃত্যু বিজেপি নেতার