সরকারি আধিকারিককে নিগ্রহের ঘটনায় আকাশ বিজয়বর্গীয়কে শোকজ করল বিজেপি
পুর আধিকারিককে প্রকাশ্যে ব্যাট দিয়ে মেরেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়। ঘটনায় যারপর নাই রুষ্ট হয়েিছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পুর আধিকারিককে প্রকাশ্যে ব্যাট দিয়ে মেরেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়। ঘটনায় যারপর নাই রুষ্ট হয়েছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু'দিন আগেই মোদি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, এরকম নেতাদের দল থেকে বের করে দেওয়া উচিত। মোদীর সেই বার্তা যে যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ ছিল সেটা বোঝা গেল বৃহস্পতিবার। বিজেপির পক্ষ থেকে শোকজ করা হল আকাশ বিজয়বর্গীয়কে।
আকাশকে নিয়ে যে চরম কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দল তার আঁচ পাওয়া গিয়েছিল সেই ঘটনার পরেই। সদ্য বিধায়ক হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়। তাই ক্ষমতা হাতে পেতেই ধরাকে সড়া জ্ঞান করেছিলেন তিনি। পুর আধিকারিকরা বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গেলে তাঁদের হুমকি তো দেনই প্রকাশ্যে ক্রিকেটের ব্যাট নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। তাতে একদিন জেলে কাটাতে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পরের দিন যখন আকাশ জেল থেকে ছাড়া পান তখন একেবারে রাজকীয় মেজাজ ছিল তাঁর। অনুরাগীরা আকাশের মুক্তিতে বন্দুক থেকে গুলি ছুড়ে উদ্যাপন করেছিল। বাবা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ছেলেকে ভর্ৎসনা না করেই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন দুজনেই অনভিজ্ঞ তাই কাঁচা কাজ করে ফেলেছে।
তারপরেই মোদীর চরম প্রতিক্রিয়া প্রায় পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে কৈলাশের। তড়িঘড়ি মধ্য প্রদেশ বিজেপির প্রধান রাকেশ সিংকে ফোন করে দিল্লিতে ডাকেন অমিত শাহ। এই নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা হয়। তারপরেই নেওয়া হয় চরম সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয়বার বিপুল জনপ্রিয়তায় ক্ষমতায় আসার পর মোদী যে আরও কোনও ঝুঁকি নেবেন না সেকথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। শপথ গ্রহণের আগে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে তিনি সকলকে নিজেদের আচরণ নিয়ে সংযত হওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন। সেই বার্তার প্রথম কোপটা পড়ল আকাশের উপর।