হিমাচলে বিক্ষুব্ধরাই অন্তরায় হল বিজেপির! ‘মিথ’ ভাঙার স্বপ্ন ছারখার কংগ্রেসের জয়ে
হিমাচলে বিক্ষুব্ধরাই অন্তরায় হল বিজেপির! ‘মিথ’ ভাঙার স্বপ্ন ছারখার কংগ্রেসের জয়ে
হিমাচলে এবার 'মিথ' ভাঙার স্বপ্নে মশগুল ছিল বিজেপি। কিন্তু আবারও প্রথা মেনে কংগ্রেসই এল ক্ষমতায়। কংগ্রেসের জয়ে বিজেপির স্বপ্ন ভেঙে গেল। আর বিজেপির এই স্বপ্নভঙ্গে অন্তরায় হল বিক্ষুব্ধরাই। বিজেপির বিদ্রোহীরা অন্তত ১২ আসনে দলকে প্রত্যাঘাত করেছে। ফলে বিজেপিকে থমকে যেতে হয়েছে ম্যাজিক ফিগার থেকে অনেকটাই দূরে।
বিজেপি পার্বত্য রাজ্য হিমাটল প্রদেশে পর পর দুবার জয় হাসিল করতে ঘূঁটি সাজিয়েছিল। সেইমতো প্রচারেও জোর দিয়েছিল তারা। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গিয়েছিলেন প্রচারে। কিন্তু ফল হল না। স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। টানা দ্বিতীয়বার জয়ের কীর্তি গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েও ৯টি আসন দূরে থেমে গেল বিজেপির জয়রথ।
হিমাচলপ্রদেশে মোট ৬৮টি আসনের বিধানসভা। ফলে ম্যাজিক ফিগার দাঁড়িয়েছিল ৩৫। বিজেপি সাকুল্যে ২৬-এ পৌঁছতে পারছে। বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে কংগ্রেস পার্বত্য রাজ্যে ৩৫-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে ৩৯। ফলে মিথ বজায় রেখে হিমাচলে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। আর বিজেপি হিমাচলে এই হারের জন্য আঙুল তুলেছে দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তথা বিদ্রোহী নেতাদের দিকে। তিনটি আসনে জিতেছে নির্দল, তারা বিজেপির বিদ্রোহী বলেই দাবি একাংশের। বিদ্রোহীদের কারণে অনেকগুলি আসনে কংগ্রেস জয় পেয়েছে বলেও মনে করছে বিজেপি।
বিজেপির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ১২টি কেন্দ্রে বিজেপির বিদ্রোহীরা ফ্যাক্টর হয়েছে। সেই কারণে ৯টি কেন্দ্রে বিজেপিতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হয়েছে। বিলাসপুর, ভাটিয়া, ধরমপুর, ইন্দোরা, ঝান্ডুতা, রামপুর, শিলাই, শ্রী রেণুকাজি এবং সুজনপুর। বিলাসপুর, ভাটিয়া, ধরমপুরে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সাপ-লুডো খেলার মতো উত্থানপতন হয়েছে এখানে। একই ছবি দেখা গিয়েছে ইন্দোরা, ঝান্ডুতা, রামপুর, শিলাই, শ্রী রেণুকাজি, সুজনপুরেও। শেষোক্ত কেন্দ্রগুলিতে কংগ্রেসের পাল্লা ভারী ছিল। প্রথম তিনটিতে পাল্লাভারী ছিল বিজেপির।
বিজেপির বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। তারপরও বি্দ্রোহীরা সরে আসেননি তাঁদের অবস্থান থেকে। ফলে বিজেপিকে অন্তর্দ্বন্দ্বের মূল্য চোকাতে হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বেশ কিছু বিদ্রোহী সরে এলেও, অনেককেই মানানো যায়নি। তাই বিজেপির তীরে এসে তরী ডুবল বলে মনে করছে নেতৃত্বও।
এবার বিজেপি হিমাচলে টিকিট দেয়নি ১১ জন বিধায়ককে। তাঁদের অনেকেই টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই নির্দলের তিনজন জয়ী হয়েছে, অনেকেই দাঁড়িয়ে বিজেপির অসুবিধা করে দিয়েছে। বিজেপির ভোট দু-ভাগ হওয়ায় সুবিধা পেয়েছে কংগ্রেস। আরও বহু কেন্দ্রে এই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের বোঝানো সম্ভব হলেও অনেকগুলি কেন্দ্রে বিজেপিতে কোন্দল রয়ে গিয়েছিল তার মাশুল দিয়েই মিথ ভাঙার স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছে বিজেপি। রীতি মেনে কংগ্রেসই জয়ী হয়েছে হিমাচলে।
By Election 2022: ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি-কং ২-২! একটি মাত্র লোকসভা গেল এসপির দখলে