রয়েছে একাধিক পথ! হরিয়ানায় ক্ষমতায় ফিরতে একরকম নিশ্চিত বিজেপি
প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলকে ব্যর্থ প্রমাণ করে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু।
প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলকে ব্যর্থ প্রমাণ করে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু। একমাত্র ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিসের বুথ ফের সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কথা। সেই ফলাফলই উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতি দুষ্মন্ত চৌতালা কিংমেকার হিসেবে উঠে এসেছেন। তাঁর রাজনৈতিক দল জননায়ক জনতা পার্টি ৯০ টি আসনের মধ্যে ১০ টি আসন দখল করেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৫ আসন দূরে বিজেপি
সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৫ টি আসনে দূরে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস ২০১৪-র নির্বাচন থেকে আসন সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। এবার তাদের আসন সংখ্যা ৩০। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে এনেকটাই দূরে রয়েছে। এই মুহূর্তে দুষ্মন্ত চৌতালার হাতেই যেন হরিয়ানার সরকার গঠনের চাবি। এই মুহুর্তে দুষ্মম্ত চৌতালার সঙ্গে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েই জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
দুষ্মন্ত অনড় থাকলে বিজেপির ভরসা নির্দলরা
যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেকটাই দূরে থাকায় কংগ্রেসের থেকে বিজেপি ক্ষমতা দখলের পথে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। কেননা দুষ্মন্ত চৌতালা যদি মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য অনড় থেকে যান, তাহলে নির্দলরাই সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন।
৭ নির্দলের মধ্যে ৫ জন বিজেপির বিক্ষুব্ধ
এবারের নির্বাচনে হরিয়ানায় সাতজন নির্দলীয় জিতেছেন। যার মধ্যে পাঁচজনই বিজেপির বিক্ষুব্ধ। দলের টিকিট না পেয়ে, এই পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই পাঁচজনকে বাগে আনা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে সহজতর বলেই মনে করা হচ্ছে। বাকি দুই নির্দল বিধায়কের মধ্যে একজন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের বিক্ষুব্ধ এবং অপর জন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ।
বিজেপিকে সমর্থন করতে পারেন চৌতালা পরিবারের অপর সদস্যও
বিজেপিকে সমর্থনের সম্ভবনা রয়েছে চৌতালা পরিবারের অপর সদস্য আইএনএলডির একমাত্র বিধায়ক অভয় চৌতালা। যদি দুষ্মন্ত বিজেপির থেকে পিছিয়ে যান, তাহলে বিজেপিকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবেন অভয়, এটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিজেপিকে সমর্থন করতে পারে হরিয়ানা লোকহিত পার্টিও
বিজেপিকে সমর্থন করতে পারেন হরিয়ানা লোকহিত পার্টির একমাত্র বিধায়ক গোপাল কাণ্ডাও। যিনি হরিয়ানার রাজনীতিতে বিতর্কিত চরিত্রও বটে। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর যখন সরকার গড়তে কংগ্রেসের ৫ জন সদস্য কম হচ্ছে, সেই সময় কাণ্ডা সমর্থন করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি বাকি সদস্যদেরও ম্যানেজ করেছিলেন। যার ফলস্বরূপ হুডা ক্যাবিনেটে তাঁকে স্থান দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০১২ সালে এয়ার হোস্টেস গীতিকা শর্মাকে যৌন নিগ্রহের জেরে জাতীয় খবরের শিরোনামে আসার জেরে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের থেকে বিজেপি হরিয়ানায় সরকার গঠনের জন্য ভাল জায়গায় রয়েছে।