বিজেপি বড় ‘একা’ হয়ে যাচ্ছে, এনডিএ শরিকদের ‘পথ’ দেখাচ্ছে মহারাষ্ট্রের বিক্ষুব্ধ শিবসেনাই
লোকসভা ভোটের পর দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। আবার এক রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ঝাড়খণ্ডে সেই ভোটের আগে বড্ড একা হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার দেখানে পথে হাঁটতে শুরু করেছে অন্য শরিকরা। ফলে ভোটের মুখে বিপাকে পড়েছে মোদী-শাহের দল। কংগ্রেস দেখছে মজা।

শিবসেনার পথে হাঁটছে শরিকরা
মহারাষ্ট্রে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে কার্যত মিথ্যাবাদী তকমা দিয়ে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে শিবসেনা। এবার তাঁদের পন্থাই নিল ঝাড়খণ্ডের সমস্ত শরিক দলই। বিজেপিকে একা করে আলাদা লড়াইয়ের বার্তা দিল তারা। ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন থেকে শুরু করে লোকজনশক্তি পার্টি এবং জেডিইউ- প্রত্যেকেই এখন বেসুরো বাজতে শুরু করেছে।

জেডিইউ নেই বিজেপির জোটে
নীতীশ কুমারের জেডিইউ আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল, তাঁরা ঝাড়খণ্ডে বিজেপির জোটে থাকবে না। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা একাই লড়া করবেন। এবার জেডিইউয়ের পথ ধরে সরে গেন অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টই ইউনিয়ন ও রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিও।

নির্বাচনের মুখে একা হয়ে গেল বিজেপি
ফলে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের মুখে একা হয়ে গেল বিজেপি। ঝাড়খণ্ডে এখন এনডিএ-র কোনও অস্তিত্ব রইল না। বিজেপি এখন নমনীয় হয়ে অন্তত স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে জোট বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। লোক জনশক্তিকেও ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছে বিজেপি, এখন দেখার কোন জায়গায় দাঁড়ায় পরিস্থিতি।

অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে বিবাদ
সুদেশ মেহতার দল অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ১৯টি আসন চেয়েছিল। বিজেপি ৯টির বেশি দিতে চায়নি। তা নিয়ে বিবাদে ইতিমধ্যে ১২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে অল ঝাড়খম্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।

রামবিলাসের দলও বিজেপি সঙ্গ ছাড়ছে ঝাড়খণ্ডে
আবার লোক জনশক্তি পার্টিও ঘোষণা করে দিয়েছে তারা ঝাড়খণ্ডের ৫০টি আসনে এবার পৃথক প্রার্থী দেবে। তাঁরা বিজেপির কাছে এবার ৬টি আসন চেয়েছিল। কিন্তু তা না পেয়েই এমন সিদ্ধান্ত তাঁদের। বিজেপির সমস্ত শরিকই এখন শিবসেনা থেকে উৎসাহিত হয়েছে, ফলে ঝাড়খণ্ডে বিপাকে পড়েছে বিজেপি।

বিজেপির সমালোচনা জেডিইউয়ের কেসি ত্যাগী
নীতীশের দলের নেতা কেসি ত্যাগী বিজেপির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি বড় হয়ে বড় মনের পরিচয় দেয়নি। কোনও শরিক দলের সঙ্গেই আলোচনা করেনি। তাঁদের দাবি শোনেনি। ফলে যা হওয়ার চা-ই হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির সঙ্গে কোনও সমঝোতা হচ্ছে না কোনও দলের। মহারাষ্ট্রে দম্ভ চূর্ণ হয়েছে, এবার ঝাড়খণ্ডেও হবে।