গুজরাতের নির্বাচনে দৃশ্যপটে হালকা হচ্ছে কংগ্রেস, আপের উত্থানে চাপে বিজেপি
মাঝে থেকেও কার্যত নেই কংগ্রেস। গুজরাতে লড়াই হচ্ছে বিজেপি ও আপের মধ্যে। পরের পর ঘটনা সেই কথাই বলছে। কথার লড়াই থেকে রাজনৈতিক লড়াই সবটাই চলছে এই দুই দলের মধ্যে। চাপের মধ্যে আছে বিজেপি, কিন্তু গুজরাতের আটঘাট সবটা তাঁদের জানা। তাই চাপে পড়লেও বিজেপি জায়গা ছাড়ছে না। সে কোনও ধর্মীয় ইস্যু হোক কিংবা জাতপাতের বিষয়। জমি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই লড়াই এখন সেয়ানে সেয়ানে হচ্ছে। আর দুই যুযুধান কারা? আপ ও বিজেপি।
'
চালে মাত
বিজেপিকে
তাঁদের
চালে
মাত
দিতে
চাপ
দিচ্ছে
আপ।
তাঁরা
ভোট
ঘোষনার
অনেক
আগেই
মুখ্যমন্ত্রী
পদ
প্রার্থী
ঘোষনা
করে
দেয়।
তার
বেছে
নেয়
ইসুদান
গাধবিকে
যিনি।
কংগ্রেসের
পক্ষে
এই
কাজ
করেছিলেন
মাধোসিং
সোলাংকি
যিনি
ছিলেন
একজন
ক্ষত্রীয়।
তিনি
তিনবার
এই
পদে
ছিলেন।
তার
রেকর্ড
ভাঙেন
নরেন্দ্র
মোদী।
তবে
সোলাংকির
নেতৃত্বে
কংগ্রেস
জিতেছিল
১৪৯টি
আসল।
ওই
রেকর্ড
এখনও
অক্ষুন্ন।
নয়া শক্তি
তবে এবার নয়া শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে আপ। ২০১৭ গুজরাত নির্বাচনে তাঁরা মাত্র ২৯ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। এবার তাঁরাই ১০০-র বেশি আসনে দিয়ে দিয়েছে প্রার্থী। তাঁরা এই বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসীও। নির্বাচনের তারিখ বোলার আগেই এটা তাঁরা বলে দিয়েছিল। সঙ্গে ছিল তাঁদের প্রচুর ভালো প্রতিশ্রুতি, আবার তাঁরা সেটা কীভাবে পূর্ণ করবে সেটাও তাঁরা বলেছে। তাই চাপে যে আছে বিজেপি তা স্পষ্ট। তবে তাঁরা সেই চাপ নিয়েই খেলতে নামছে মাঠে।
বিজেপি জন্ম
এটাও ঘটনা যে বিজেপি প্রথম জন্ম নেয় ১৯৮০ সালে।, তখন ১৮২ এর মধ্যে ১২৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তাঁরা। সেই নির্বাচনে ১৪১ আসন যায় কংগ্রেসের দখলে। ২১টি জিতেছিল জনতা পার্টি। ১০টি জিতেছিল নির্দলরা। এর পর থেকে বিজেপি আর ফিরে তাকায়নি। ক্রমে উন্নতি করেছে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিজেপি যদি ১৫ বছর তৃতীয় স্থান থেকে প্রথম স্থানে উঠে আসতে পারে তাহলে আপের উত্থানও অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফলে এটা স্পষ্ট যে গুজরাত নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। তবে সেটা খাতায় কলমে। কংগ্রেস ট্র্যাকে সেভাবে নেই। আসন তাঁদের বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। উলটে ১২টি আসন তাঁদের কমতে পারে। সেই সব ভোট চলে যেতে পারে আপ ও বিজেপির দিকে। ফলে কংগ্রেস আপাতত এই সমস্যায় নেই।
ক্রম অবনতি, গত আট বছরে উষ্ণতর হয়েছে বিশ্ব