বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় স্থানীয় নির্বাচনে বড় ধাক্কা! একের পর পুরসভায় হার গেরুয়া জোটের
রাজ্যের সীমানায় একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে কৃষ্কদের আন্দোলন। তারই মধ্যে হরিয়ানায় (haryana) স্থানীয় নির্বাচনে বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। পুর কর্পোরেশনের নির্বাচনে রাজ্যের বিজেপি (bjp) জোট সরকার সোনিপত এবং আম্বালা হারিয়েছে কংগ্রেসের কাছে। উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা নিজের গড় হিসারের উকালানা এবং রেওয়ারির ধারুহেরা হারিয়েছেন বিরোধী শিবিরের কাছে।
করোনায় রাজ্যে কমল আক্রান্ত! সংক্রমণ ও মৃত্যুতে পাল্লা কলকাতা ও উঃ ২৪ পরগনার, একনজরে বাকি জেলা

কংগ্রেসের কাছে হার বিজেপির
আম্বালা, পাঁচকুলা, সোনিপত, রেওয়ারি, ধারুহেরা, সাম্পলা এবং উখলানায় ভোট হয় রবিবার। এদিন সকাল আটটা থেকে ভোটগণনা শুরু হয়। নিখিল মদন সোনিপতের প্রথম মেয়র হতে চলেছেন। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক বিক্ষোভের জেরেই তাদের জয় এসেছে। কংগ্রেস সোনিপতে প্রায় চোদ্দো হাজার ভোটে জিতেছে। কংগ্রেস সেখানে পেয়েছে ৭২১১ ভোট। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ৫৮৩০০ ভোট। সোনিপত হল সাঙ্ঘু সীমান্তের একেবারে কাছেই। সেই জায়গাতেই কৃষক বিক্ষোভ চলছে একমাসের বেশি সময় ধরে। প্রায় একবছর আগে বিজেপি এবং জেজেপি জোট হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসে।

হেরেছে সহযোগী জেজেপিও
আম্বালায় হরিয়ানা জনচেনা পার্টি শক্তিরানি শর্মা মেয়রের পদে বসতে চলেছেন। তিনি প্রায় আট হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি এইচজেপি প্রধান বিনোদ শর্মার স্ত্রী। বিনোদ শর্মা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁদের ছেলে মনু শর্মা জেসিকা লাল হত্যাকাণ্ডে জেলবন্দী।
বিজেপি পাঁচকুলায় এগিয়ে। রাজ্যের তাদের সহযোগী জেজেপি, যাদের গ্রামে শক্তি বেশ ভালই তারা রেওয়ারির ধারুহেরা এবং হিসারের উখলানায় হেরে গিয়েছে।

কৃষক আন্দোলনের প্রভাব
কৃষক আন্দোলনের জেরে অকালি দল ইতিমধ্যেই এনডিএ ছেড়েছে। তারপর এনডিএ ছাড়ার কথা বলেছিলেন হরিয়ানার উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা। যদিও সরকার বলছে নতুন কৃষি আইন এই ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে। যদিও কৃষকরা বলছেন, এই আইনে তারা বেসরকারি ক্ষেত্রের হাতের পুতুল হয়ে যাবেন।
দুষ্মন্ত চৌতালা আইএনএলডি প্রধান হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার নাতি। যিনি দুর্নীতির কারণে জেল বন্দী। দুষ্মন্ত চৌতালা আগে বলেছিলেন, তিনি যদি কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে তিনি পদ ছাড়বেন।

শাসক জোটকে বয়কট
ইতিমধ্যেই হরিয়ানার বহু গ্রাম শাসক জোটের নেতাদের বয়কট করেছে। প্রসঙ্গত বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কৃষকই হরিয়ানা ও পঞ্জাবের। গতমাসেই বিরোধীরা হরিয়ানা সরকারের কড়া সমালোচনা করেছিল কৃষক বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি নিয়ে। লাঠি নিয়ে মারার পাশাপাশি জলকামানও ব্যবহার করা হয়েছিল কৃষ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে। হাজার হাজার কৃষ দিল্লির অদূরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন, নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে।