বিজেপিতে বড় ভাঙন আসন্ন ভোটের মুখে! দু’বারের মন্ত্রী গেরুয়া পার্টি ছেড়ে বিরোধী শিবিরে
লোকসভায় বিপুল জয় পেয়েও স্বস্তিতে নেই বিজেপি। মহারাষ্ট্রের কাঁটার মধ্যেই এখন ঝাড়খণ্ড নিয়ে সংকটে পড়েছে গেরুয়া শিবির। জোট-সংশয় তো আছেই, তার সঙ্গে নতুন সংযোজন হয়েছে ভাঙন।
লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েও স্বস্তিতে নেই বিজেপি। মহারাষ্ট্রের কাঁটার মধ্যেই এখন ঝাড়খণ্ড নিয়ে সংকটে পড়েছে গেরুয়া শিবির। জোট-সংশয় তো আছেই, তার সঙ্গে নতুন সংযোজন হয়েছে ভাঙন। ভোটের মুখেই বিজেপি ছেড়ে হেভিওয়েট নেতা নাম লিখিয়েছেন বিরোধী জেএমএম শিবিরে। নির্বাচনের মুখে বিজেপি ঘর ভাঙায় স্বভাবতই সুবিধা পাবে বিরোধী কংগ্রেস-জেএমএম।
বিজেপি নেতা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায়
মঙ্গলবার জেএমএমের পক্ষে থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিজেপি নেতা বৈদ্যনাথ রাম ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় যোগ দিয়েছিলেন এবং লাতেহার (এসসি) বিধানসভা আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হচ্ছে। রাজ্যে দু'বারের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন বৈদ্যনাথ রাম।
বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দলছাড়া
তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তার ফলেই দল ছেড়ে বিপক্ষ শিবিরে যোগ দেন বৈদ্যনাথ। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য বিজেপিকে হারিয়ে যোগ্য জবাব দেওয়া। আর সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে চাইছে জেএমএম। কংগ্রেসও চাইছে বিজেপি বিক্ষুব্ধদের কাজে লাগিয়ে ফায়দা তুলতে।
লাতেহার আসন থেকেই প্রার্থী
গেরুয়া পার্টি এই লাতেহার আসন থেকে প্রকাশ রামকে প্রার্থী করেছে। ৩০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সোমবার রাতে বৈদ্যনাথ রাম জেএমএমের কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেনের উপস্থিতিতে জেএমএম-এ যোগ দেন। এবং তাঁকেই লাতেহার কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেএমএমের টিকিটে। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি জনতা দল (ইউনাইটেড) এর সাথে ছিলেন।
বিজেপিতে দর্শন ও আদর্শই শেষ কথা
বৈদ্যনাথ রামের দলত্যাগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিজেপি রাজ্য শাখার মুখপাত্র প্রতুল শাহদেও বলেন, বিজেপি তার দর্শন ও আদর্শের ভিত্তিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কোটি কোটি কর্মী দলের হয়ে কাজ করছেন। দুর্ভাগ্যজনক যে নেতাদের একটি অংশ কেবলমাত্র বিধায়ক বা সংসদ সদস্য হতে চান। আমরা শুধু বলতে পারি তাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ঝাড়খণ্ডে ভোট তৎপরতা তুঙ্গে
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ শে ডিসেম্বর ভোট গণনা হবে। ৮১ আসন বিশিষ্ট জাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।