ত্রিপুরা সরকারের এই পদক্ষেপে 'সমস্যা বাড়ল' পূর্বতন বাম সরকারের মন্ত্রীদের
চিটফাণ্ড নিয়ে ত্রিপুরায় হওয়া ৭৪ টি মামলাই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে। এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
চিটফাণ্ড নিয়ে ত্রিপুরায় হওয়া ৭৪ টি মামলাই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে। এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে চিটফআন্ড সংক্রান্ত মামলা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি-আইপিএফটি জোট। এতদিন চিটফাণ্ড সংক্রান্ত মামলা সামলাচ্ছিল বিশেষ তদন্তকারী দল।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিবিআই ১১ টি মামলা গ্রহণে রাজি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রোজভ্যালি, রেসপন্স গ্রুপ, বেসিল ইন্টারন্যাশনাল, আইকোর এবং ওয়ারিস গ্রুপ অফ কোম্পানিস-এর মামলাও। মুখ্যমন্ত্রী আশা বাকি ৬৩ টি মামলাও সিবিআই গ্রহণ করবে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, পূর্বতন বাম সরকার চিটফাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে শোষণের বন্দোবস্ত করেছিল। সেইজন্য চিটফান্ডগুলিকে লাইসেন্স কিংবা এনওসি দেওয়াও হয়েছিল।
চিটফাণ্ডের সঙ্গে বাম সরকারের যুক্ত থাকার ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ২০০৮ সালে বিনোদন পার্কের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের উপস্থিতির কথাও তুলে ধরেছেন। যদিও মানিক সরকার পরে বলেছিলেন, রোজভ্যালি যে চিটফান্ড সংস্থা তা তিনি জানতেন না।
ত্রিপুরাকে দুর্নীতি মুক্ত এবং নেশা মুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত সপ্তাহেই রোজভ্যালির সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগে, সিবিআই পূর্বতন বাম সরকারে অর্থ, পূর্ত ও স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব সামলানো মন্ত্রী বাদল চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একইসঙ্গে তৎকালীন মন্ত্রী বিজিতা নাথকেও জেরা করে সিবিআই।
এর আগে সিবিআই, রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাসকেও জেরা করেছিল।
যদিও সিপিএম-এর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশেই সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।