বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক শুরু দলীয় সুপ্রিমোর বার্তাতেই, দক্ষিণে শুরু হয়েছে অন্য সমীকরণ
ভোট মিটেছে, মিটেছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। এখন বরং সখ্যতার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন টিডিপি সুপ্রিমো তথা অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। মোদীকে হারাতে যিনি দিনরাত এক করেছিলেন, সেই তিনিই এখন মোদীর কাছাকাছি আসতে চাইছেন। সে জন্য নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতেও তিনি পিছপা হচ্ছেন না।

টিডিপি ছাড়লে যেতে হবে বিজেপিতে
নিজের দলে তিনি অঘোষিত বার্তা দিয়েই রেখেছেন, কেউ যদি দল ছাড়েন তো ছাড়তে পারেন। কিন্তু যাওয়া চলবে না জগমোহন বা চন্দ্রশেখরের দলে। টিডিপি ছাড়লে যেতে হবে বিজেপিতে। অর্থাৎ তিনি নেতা-নেত্রীকে বিজেপিতে উপঢৌকন পাঠিয়ে বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে চাইছেন।

বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে
দলীয় প্রধান হয়ে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের এই পরামর্শ দিচ্ছেন চন্দ্রবাবু। তারপর থেকেই টিডিপি ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপির তেমন বাড়বাড়ন্ত ছিল না, নেইও। এবার যেন অন্ধ্রে বিজেপিকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব একার কাঁধেই তুলে নিয়েছেন চন্দ্রবাবু।

টিডিপি ছেড়ে বিজেপিতে যাঁরা
সম্প্রতি টিডিপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যসভার দুই সদস্য টিজি ভেঙ্কটেশ এবং ওয়াই ‘সুজানা' চৌধুরি। এরপর টিডিপির পলিটব্যুরো সদস্য রেভুরি প্রকাশ রেড্ডি সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। টিডিপি ছাড়ার পরে এই বছরের শুরুতেই অমিত শাহের উপস্থিতিতে সিএম রমেশ, গারিকাপাতি মোহন রাও, টিজি ভেঙ্কটেশ এবং ওয়াইএস চৌধুরিও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

টিডিপির হতশ্রী ফলে হতাশা, দলত্যাগ
এবার বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন টিডিপির রাজনৈতিক পারফরম্যান্স ছিল হতাশাব্যঞ্জক। অন্ধ্রপ্রদেশ লোকসভার ২৫টি আসনের মধ্যে ২২টি পায় জগমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিধানসভা ১৭৫টির মধ্যে ১৫১টি দখল করে জগমনমোহন রেড্ডির দলই ক্ষমতায় আসে। একইভাবে তেলেঙ্গানাতেও টিআরএসের দাপটে দাঁত ফোটাতে পারেনি টিডিপি।
[ সৌদির তৈলভাণ্ডারে হামলা ভারতে বড় আশঙ্কার মেঘ ডেকে আনছে! দেশের অর্থনীতিতে সংকটের জোড়া ফলা]
[জোট বাঁধলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে শিবসেনা-বিজেপির]