শাসকশিবিরে ভাঙন ধরাল বিজেপি, এক বিধায়ক ও মহিলা নেত্রীরও পদ্মে-যোগ
এক লাফে বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল হওয়ার পর শুধু অন্য বিরোধী দলেরই নয়, শাসক শিবিরেও ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি নেতৃত্ব।
বেড়েই চলেছে বিজেপি। এক লাফে বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল হওয়ার পর শুধু অন্য বিরোধী দলেরই নয়, শাসক শিবিরেও ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে বিধানসভায় তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা যেমন বাড়তেই থাকছে এক এক করে, তেমনই সংগঠনও বাড়ছে। শূন্য থেকে শুরু করে এখন পৌঁছেছে সাতে। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভিত শক্ত করতেও ময়দানে নেমে পড়েছে নেতৃত্ব।
এক বছর আগেও বিজেপির একজন বিধায়কও ছিলেন না ত্রিপুরা বিধানসভায়। এখন তারাই বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল। বিরোধী কংগ্রেস বিধায়করা প্রথমে সিপিএম বিরোধিতায় দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখায়। তারপর এখন তাঁরাই বিজেপিতে। এই ছয় বিধায়ককে পেয়েই ত্রিপুরা দখলের স্বপ্নে বিভোর বিজেপি।
সেই লক্ষ্যে চিরাচরিত ভাঙন ধরানোর রাজনীতির প্রয়োগ করে তারা আর এক কংগ্রেস বিধায়ককেও ভাঙাতে সমর্থ হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক রতনলাল নাথ যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা তাই বেড়ে হয়েছে সাত। আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায়বর্মন-সহ ছ-জন বিধায়ক যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
এবার সিপিএমকে ভাঙতে খেলা শুরু করেছে বিজেপি। প্রথমে নিচুতলার দিকেই নজর তাঁদের। আর সাফল্যও এসেছে সেই পথ ধরে। সিপিএমের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ত্রিপুরা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী কাউন্সিলর হিমানি দেববর্মাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
একজনও বিধায়ক বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত না হয়েও সাত-সাতজন বিধায়ক পেয়ে আহ্লাদে আটখানা হয়ে মোদী-শাহরা এখন ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ত্রিপুরা জয়ে। এখন প্রশ্ন গুজরাতে যেভাবে ধাক্কা খেয়েছে মোদী-শাহ মডেল, তারপর ত্রিপুরার মতো বামঘাঁটিতে গেরুয়া পতাকা উঠবে তো? নাকি ভাঙিয়ে দল ভারী করেই থেমে যাবে বিজেপির 'অগ্রগতি'।