বিজেপি ছাড়ার হিড়িক বিধায়কদের, রাজ্যে নির্বাচনের মুখে ক্রমেই চওড়া হচ্ছে ফাটল
বিজেপির পাঁচ বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন আগেই, ভোটের মুখে আরও এক বিধায়ক হলেন নির্দল প্রার্থী। বিদ্রোহ আরও তীব্র হচ্ছে ত্রিপুরায়। এখন চ্যালেঞ্জ এই বিদ্রোহ দমন করে দলকে জয়ের পথে চালিত করা।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেঝে গিয়েছে। ইতিমধ্যে দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ঘোষিত হয়েছে প্রার্থী তালিকাও। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পরই শাসক দল বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। এখন পর্যন্ত ৬ জন বিধায়ক বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এখন দেখার আরও বিজেপি বিধায়ক ও নেতা নির্বাচনের আগে দল ছাড়েন কি না। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ি ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিজেপির নীচুতলার নেতা-কর্মীরা। দলীয় পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন।
বিজেপি থেকে ইস্তফা দেন বিধায়কের
সোমবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেদিন দেখা গেল বিধায়ক পদে ইস্থফার হিড়িক। সেই ইস্তফার হিড়িক অব্যাহত রয়েছে মঙ্গলবারও মঙ্গলবারও এক বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার বিজেপি থেকে ইস্তফা দেন বিধায়ক অতুল দেববর্মা।
সক্রিয় আরএসএস কর্মী ব্রাত্য বিজেপিতে!
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে উড়িয়ে এনে ত্রিপুরায় প্রচারে নামনো হয়েছিল সক্রিয় আরএসএস কর্মী অতুল দেববর্মাকে। কৃষ্ণপুর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়যুক্ত হয়ে মন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে না স্থান দেওয়া হয়েছে কোনও ক্যাবিনেটে, না দেওয়া হয়েছে কোনও সংগঠনিক দায়িত্ব!
বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা অতুল দেববর্মার
বিজেপি বিধায়ক অতুল দেববর্মাকে এবার প্রার্থীও করা হয়নি। তারপরই তিনি স্পিকারকে চিঠি লিখে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তবে তিনি চিঠিতে লেখেননি কেন তিনি দলত্যাগ করছেন। তবে তিনি যে দলের প্রতি ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আগেই পাঁচ বিধায়ক ইস্তফা দেন বিজেপিতে
এর আগে আরও পাঁচ বিধায়ক ইস্তফা দেন। বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা পরই যে পাঁচ বিধায়ক ইস্তফা দেন, তাঁরা হলেন- পরিমল দেববর্মা, মিমি মজুমদার, বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিপ্লব ঘোষ ও অরুণ ভৌমিক। তাঁদেরকেও টিকিট দেওয়া হয়নি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। তাই তাঁরা দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
ভোটের মুখে বিজেপিতে আরও চওড়া ফাটল
এইভাবে বিজেপিতে বিদ্রোহ দানা বাঁধছে নির্বাচনের মুখে। বিধায়কদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামীরাও সরে দাঁড়াচ্ছেন। এখন দেখার এই বিদ্রোহ কতখানি চওড়া হয়। বিজেপিতে আরও চওড়া ফাটল তৈরি হয় কি না। বিজেপির কাছে এখন চ্যালেঞ্জ এই বিদ্রোহ দমন করে দলকে জয়ের পথে চালিত করা।
সাত বিধায়ককে এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ আসনের ত্রিপুরায় ৫৫ আসনে লড়ছে বিজেপি। পাঁচটি আসন ছাড়া হয়েছে জোটসঙ্গী আইপিএফটিকে। গতবারের জয়ী সাত বিধায়ককে এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি। তার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও। তবে বিপ্লব দেব ছাড়া বাকি ৬ জন পদত্যাগ করে জবাব দিলেন বিজেপিকে।
নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা
বিজেপি ছেডেছেন রাজ্য কমিটির সদস্য উনাকোটি জেলার প্রাক্তন সভাপতি রঞ্জন সিনহাও। তিনি যেমন নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, দলত্যাগী বিধায়করা অনেকে নির্দল হয়ে বা টি্প্রামোথার হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। অনেক বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সম্মিলিত নির্দল প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছেন। যুবরাজনগরের ধর্মনগরে অনুগামীদের নিয়ে দল ছেড়েছেন যুব মোর্চা প্রেসিডেন্ট নীহারেন্দু নাথ ও তমোজিৎ নাথ। বর্তমান বিধায়ক মলিনা নাথকে প্রার্থী করায় তারা ইস্তফা দিয়েছেন।
Tripura Election 2023: ভোটে প্রার্থী হচ্ছে না কি পার্টির সিদ্ধান্তে? ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব মানিক সরকারের