দলিতদের মনে কি জায়গা পেলেন মোদী! মিশন ২০১৯-এ ৫ বছরের মূল্যায়নে বিজেপি
বিপুল প্রত্যাশার স্বপ্ন দেখিয়ে পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর কয়েকমাস পরেই শুরু হবে মহাযুদ্ধ। তার আগে কর্মসমিতির বৈঠকে জল মাপতে শুরু করল বিজেপি।
বিপুল প্রত্যাশার স্বপ্ন দেখিয়ে পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর কয়েকমাস পরেই শুরু হবে মহাযুদ্ধ। তার আগে কর্মসমিতির বৈঠকে জল মাপতে শুরু করল বিজেপি। গত পাঁচ বছরে মোদী সরকারেরর আমলে জনমুখী কর্মসূচিগুলিতে সারা দেশ কতটা মজেছে তা জেনে নিতে চাইছে বিজেপি। সেইসঙ্গে জানতে চাইছে দলিত সমাজ বিজেপিকে আপন করে নিল কি না।
দলিতদের মন পেতে এতদিন সমস্তরকম চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। দলিতদের বাড়িতে পাত পেড়ে খেয়েছে। অমিত শাহ থেকে শুরু করে দলিত শ্রেণির বন্ধু হয়ে ওঠার যাবতীয় প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছেন অন্য নেতারাও। এবার তার কী ফল মিলল, তা মূল্যায়ন করে দেখতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই নিরিখেই জাতীয় কার্যনির্বাহকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মোদী-শাহরা।
বৈঠকের মূল লক্ষ্য দলিতদের আস্থা অর্জন। সেইসঙ্গে ২০১৯-এর মহাযুদ্ধের রণনীতি নিরূপণ করাও মোদী-শাহদের উদ্দেশ্য। অমিত শাহ নিজে বাংলায় এসে দলিত পরিবারে পাত পেড়ে খেয়েছেন। উত্তপ্রদেশের যে রাজনীতি শুরু করেছিলেন একই পন্থা অবলম্বন করে বাংলায় এগনোর চেষ্টা করেছেন। এবার বিজেপি তার ফল নিরূপণ করতে বসায়, স্বাভাবিকভাবেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আগামী ভোটেও দলিত ও নিম্নবর্গের তাস ফেলতে চাইছে বিজেপি। সংসদে বিল এনে তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইনকে আরও মজবুত করতে চাইছে।
বিজেপি জানে, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে ভালো ফল করতে হলে দলিতদের সমর্থন প্রয়োজন। দলিতদের করায়ত্ত না করতে পারলে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে না। আর দলিতদের বন্ধু হতে পারলে ২০১৯-এর দিল্লির মসদন দখলের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারবে বিজেপি।