রয়েছে আরএসএস-এর পরামর্শ, বিভিন্ন রাজ্যের সভাপতি নির্বাচনে পরীক্ষিত মুখেই ভরসা বিজেপির
দলীয় সভাপতি পদে অমিত শাহ চলে গিয়ে নতুন সভাপতি হয়েছেন জেপি নাড্ডা। কিন্তু বিজেপি রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত মুখের ওপরেই ভরসা রাখা হয়েছে। সেটা হয়েছে প্রায় সারা দেশের ক্ষেত্রেই।
দলীয় সভাপতি পদে অমিত শাহ চলে গিয়ে নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন জেপি নাড্ডা। কিন্তু বিজেপি রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত মুখের ওপরেই ভরসা রাখা হয়েছে। সেটা হয়েছে প্রায় সারা দেশের ক্ষেত্রেই। এই নীতিতে দলের অভ্যন্তরে কেউই বিশেষভাবে অবাক হননি।
৫০ শতাংশের বেশি রাজ্যে বিজেপি নির্বাচনের প্রস্তুতি
জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি রাজ্যে বিজেপি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছিল। কেননা দলীয় সংবিধানেই তার উল্লেখ ছিল। কিন্তু হাতে গোনা রাজ্যেই বিজেপির সভাপতির পরিবর্তন করা হয়েছে। সভাপতি পরিবর্তন হওয়া রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে, নাগাল্যান্ড, হিমাচলপ্রদেশ, ওড়িশার মতো রাজ্য। অন্যদিকে বেশিরভাগ রাজ্যেই আগে থেকেই যাঁরা দায়িত্ব সামলে আসছিলেন, তাঁদেরকেই ফের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার সব থেকে বড় উদাহরণ পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। অন্যদিকে এই উপায় অনুসরণ করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, অসমে, উত্তরপ্রদেশ। জম্মু ও কাশ্মীর, অসম, উত্তরপ্রদেশে যথাক্রমে রবীন্দর রায়না, রঞ্জিত কুমার দাস এবং স্বতন্ত্রদেব সিংকে পুনরায় রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ডে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর ক্ষমতা হারানোর জেরে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী হারে ধাক্কা খায় দল।
রয়েছে আরএসএস-এর পরামর্শ
জানা গিয়েছে, আরএসএস-এর পরামর্শেই বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। আঞ্চলিক নেতাদের উত্থান নিয়ে বিজেপিকে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল আরএসএস। য কিনা দেশব্যাপী বিজেপির বৃদ্ধিকে থামিয়ে দিতে পারে।
পুরনো নেতৃত্বেই আস্থা
পুরনো নেতৃত্বকেই রাজ্যের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বকেই ফের নির্বাচিত করার অর্থ হল তাদের ওপরেই আস্থা রাখা।
অবস্থানের ব্যাখ্যা
একজন নতুন সভাপতিকে দায়িত্ব দিতে গেলে অনিশ্চিত পরিস্থিতির পাশাপাশি তা সময় সাপেক্ষও বটে। যদি বর্তমানে থাকা ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে, সেখানে সেই ব্যক্তির ওপর ভরসা রাখা হচ্ছে, তাঁকে অস্বীকার করা হচ্ছে না। ব্যাখ্যা করেছেন সংগঠনেরই এক নেতা।
বেশিরভাগ রাজ্য প্রধানের রয়েছে আরএসএস-এর সমর্থন
বিজেপি সূত্রে খবর দলের রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আরএসএস-এর সমর্থন রয়েছে। এরকমই এক উদাহরণ হলে অশ্বিন শর্মা, যিনি পঞ্জাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরএসএস-এর সক্রিয় সদস্য।