রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: প্রার্থী বাছাইয়ে বিজেপির দায়িত্ব রাজনাথ-নাড্ডাকে! NDA-UPA -নির্দলদের সঙ্গে করবেন আলোচনা
নির্বাচন কমিশনের (election commission) তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (president election) দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ জুলাইয়ের ওই নির্বাচনের জন্য ছন্নছাড়া বিরোধীদের থেকে এগিয়ে থাকা এনডিএ সর্বসম্মত প্রার্থী বাছায়
নির্বাচন কমিশনের (election commission) তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (president election) দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ জুলাইয়ের ওই নির্বাচনের জন্য ছন্নছাড়া বিরোধীদের থেকে এগিয়ে থাকা এনডিএ সর্বসম্মত প্রার্থী বাছায় করতে চায় বলে জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। তবে এব্যাপারে এনডিএ (NDA), ইউপিএ (UPA) এবং নির্দলীয়দের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিজেপির তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh) ।
বিজেপির তরফে আলোচনার দায়িত্ব দুজনকে
এদিন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন। এর আগে ২০১৭ -তে রামনাথ কোভিন্দের রাষ্ট্রপতি পদে বসার আগেও বিজেপির তরফে অন্য দলগুলির সঙ্গে মরামর্শ করার জন্য ২ জনের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিচত শাহ আলোচনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন বর্তমানের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু এবং প্রয়াত অরুণ জেটলিকে। ২০১৭-র নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থন করেছিল বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস। সেই সময় কোভিন্দ পেয়েছিলেন ৬৫ শতাংশ ভোট।
বিরোধী শিবিরেও তোড়জোড়
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই বিরোধী শিবিরে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে বিরোধী শিবির এব্যাপারে ছিন্নভিন্ন। জানা গিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে সানিয়া গান্ধী অসুস্থ হওয়ায় হঠাৎ করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী জোটের বৈঠক করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের চিঠি দিয়েছেন। বিরোধী শিবির থেকে একজন প্রার্থীকে মনোনীত করার চেষ্টা করা হবে, সেই বৈঠক থেকে। তবে সবার সঙ্গে আলোচনা করেতবেই এই আমন্ত্রণ পত্র কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পাঠানো শুরু করার পরেই।
সম্মিলিত বিরোধীরা এগিয়ে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজেপির অবস্থা শক্ত হলেও সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের থেকে তা কমই। একদিকে যেখানে বিজেপির ঝুলিতে ভোট রয়েছে ৪৮.৯ শতাংশ, সেখানে সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের ভোট রয়েছে ৫১.১ শতাংশ। সেক্ষেত্রে বিজেপি ও বিরোধীদের ভোটের ব্যবধান মাত্র ২.২ শতাংশের মতো।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জটিল জোট-অঙ্ক
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জোটের অঙ্ক বেশ জটিল। গতবারের মতে এবারও এনডিএ তথা বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে ওড়িশার বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। বিজেপির তরফে এব্যাপারে প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিষয়টি নিয়ে এমাসের শুরুর দিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
নূপুর শর্মা বিতর্কের আঁচ এবার নদিয়ায়! বেথুয়াডহরি স্টেশন-ট্রেনে হামলা-তাণ্ডবের জেরে এলাকায় উত্তেজনা