দলিত ভোট ব্যাঙ্ক টানতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে বিজেপি
আগামী বছর লোকসভা নিরবাচন। তার আগে নিজের ঘর গোছাতে রীতিমত কঠোর হোমওওয়ার্ক করে রাজনীতির ময়দানে নামছে বিজেপি।
চলতি বছরে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর আগামী বছর লোকসভা নিরবাচন। তার আগে নিজের ঘর গোছাতে রীতিমত কঠোর হোমওওয়ার্ক করে রাজনীতির ময়দানে নামছে বিজেপি। ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে দলিত ইস্যু। আর দলিতরা বেশ কিছুদিন ধরে এসসি এসটি অ্যাক্ট সমেত একাধিক ইস্যুতে অসন্তুষ্ট, তথা নানা কারণে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির থেকে। ফলে ধাক্কা লেগেছে বিজেপি-র ভোটব্যাঙ্কে। এবার সেই ক্ষতিকে পূরণ করতে একাধিক স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে পদ্মশিবির তথা ন্য়াশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স।
বিজেপি-র দলিত নীতি
দলিত ইস্যু নিয়ে বিজেপি ও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আলাদা আলাদা নীতিতে এবার এগোতে চাইছে। এজন্য বিজেপি-র ১৩৫০ বিধায়ক ও ৩২৪ জন সাংসদের সঙ্গে বাঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাতে ৩ সপ্তাহ ব্যাপী দলিত নীতি নিয়ে একাধিক উদ্যোগ নিতে পারে গেরুয়া শিবির।
১১ এপ্রিল জ্যোতিবা ফুলের জন্মদিন
দলিত নেত্রী জ্যোতিবা ফুলের জন্মদিনে ১১ এপ্রিল বিজেপি একটি গ্রাম সভা অভিযানের আয়োজন কতে চলেছে দিকে দিকে। এটি চলবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। এর মাধ্যমে দেশের ২০ হাজার গ্রামে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি-র কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন।
১৪ এপ্রিল আম্বেদকারের জন্মদিন
১৪ এপ্রিল বিআর আম্বেদকরের জন্মদিন। দলিত সম্প্রদায়ের এই স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে এনডিএ সরকারের পক্ষ থেকে ২১ হাজার গ্রামে আলাদা আলাদা ক্যাম্প করা হচ্ছে। যেখানে নিম্নবর্গদের কাস্ট ও আয় বিষয়ক সংশাপত্র দেওয়া হবে।
দলিত ইস্যুতে ঘটে যাওয়া ঘটনা
এপর্যন্ত দলিত ইস্যুতে দেশে একাধিক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির উদ্রেক হয়। ২০১৬ সালে হায়দরাবাদে রোহিত ভারামুলার আত্মহত্যা, দলিতদের ওপর উনাতে গোরক্ষকদের হামলা ইত্যাদি। যেসব ইস্যুতে বিজেপি কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যায়।
বিজেপি কর্মীদের প্রতি বার্তা
দেশের প্রত্যেকটি বিজেপি- ইউনিটকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা আম্বেদকরের জন্মদিন ধুমধাম সহকারে পালন করেন। ৫ মে পর্যন্ত দলিত বিষয়ক সমস্ত কর্মসূচী নিষ্ঠা সহকারে পালনের কথাও বলা হয়েছে। দেশের যে সমস্ত গ্রামে ৫০ শতাংশ দলিত রয়েছেন, সেখানে অন্ত এক রাত্রি কাটিয়ে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে বিজেপি-র নেতামন্ত্রীদের।
গ্রামে বিশেষ যোজনা
একদিকে পঞ্চায়েত অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচন, তার আগে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ,প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা সমতে একাধিক স্কিম নিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছনোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে গ্রামের একটি পিছিয়ে পড়া অংশ এই সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারী উদ্যোগের সুবিধা পায়।