বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ উত্তর-পূর্বের শরিকের! ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে তীব্র হচ্ছে ফাটল
মিজোরামেও বিজেপি-জোট ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বিজেপি আদর্শগত পার্থক্যের কারণ দর্শিয়ে এমএনএফকে এনডিএ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিজেপি জানিয়েছে, তারা জোট থেকে সরে আসার জন্য প্রস্তুত।
মিজোরামেও বিজেপি-জোট ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বিজেপি আদর্শগত পার্থক্যের কারণ দর্শিয়ে এমএনএফকে এনডিএ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিজেপি জানিয়েছে, তারা জোট থেকে সরে আসার জন্য প্রস্তুত। জোরামথঙ্গার নেতৃত্বাধীন মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা এমএনএফের সঙ্গে বিজেপির জোট সরকার রয়েছে মিজোরামে। বিজেপি মাত্র একটি আসন নিয়ে এমএনএফ-সরকারে রয়েছে।
জোরামথঙ্গার একটি বক্তৃতা নিয়ে
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জোরামথঙ্গার একটি বক্তৃতা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হয়। ধর্মীয় স্বাধীনতা উত্তর-পূর্ব ভারতে এনডিএ জোটের মধ্যে মতামতের পার্থক্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি ভানলালহমুয়াকা এমএনএফকে সরাসরি জানিয়ে দেয়, বিজেপির সঙ্গে আদর্শগত পার্থক্য থাকলে জোট থেকে সরে যেতে পারে।
মিজোরাম বিধানসভায় ভুল বক্তব্য, বিজেপির অভিযোগ
ভানলালহমুয়াকা বলেন, আমি এমএনএফ সভাপতি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথঙ্গাকে জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের মত আপনাদের থেকে আলাদা। তিনি মিজোরাম বিধানসভায় ভুল বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলছেন, বিজেপি খ্রিস্টানদের পক্ষে ভালো নয় এবং মিজোরামের পক্ষেও ভালো নয়।
বিজেপিকে ছেড়ে একা চলতে পারে এমএনএফ
এইটাই যদি তাঁর মত হয়, তিনি এনইডিএ (নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) ছেড়ে একা চলতে পারেন। তিনিও একজন নির্বাচিত সদস্য। তিনি যদি বিজেপির সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন, তবে তাঁকে অবশ্যই এনইডিএ ত্যাগ করতে হবে। মিজোরামের বিরোধী সিএলপি নেতারা ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে মত পোষণ করেছিলেন।
ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে বিজেপি
তাদের দাবি ছিল, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। এরপর সরকার পক্ষও বিরোধী মতকে সমর্থন করে বসে। মুখ্যমন্ত্রী সহমত হন। এরপরই বিজেপি সরব হন জোটসঙ্গীর বিরুদ্ধে। বিজেপির কথায়, এমন কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। বিজেপি খ্রিস্টান জনগণের জন্য কিছু ভুল করছে, এমন কোনও কিছুই ঘটেনি।
সিএএ বিজেপির ইশতেহারে ছিল
সিএএ বিজেপির ইশতেহারে ছিল। এই ইশতেহারের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। সুতরাং আমরা নিশ্চিত ছিলাম সিএএ নিয়ে এবং মিজোরামেও তা পাস হবে। উত্তর-পূর্বের লোকেরা দাবি করেছিলেন, এই সিএএ এখানে কার্যকর করা উচিত নয়।
এমএনএফের দাবি
এমএনএফ নেতা লালজামলোভা বিজেপির মন্তব্যের জবাবে জানান, এমএনএফ এবং বিজেপি তাদের নিজস্ব মতাদর্শ এবং নীতি নিয়ে চলছে। দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুটি ভিন্ন নীতি, ভিন্ন মতাদর্শ থাকতেই পারে। তাই সেই মত প্রকাশ করা অযৌক্তিক নয়। বিজেপি তারপর যদি জোটে থাকতে না চায়, থাকবে না।