রাহুলের উত্তরণেই পিছু হটছেন মায়া-মমতারা! ভোটে হেরে ২০১৯-এ সঙ্ঘবদ্ধ বিজেপি
রাহুল ঘুরে দাঁড়াতেই বেঁকে বসেছেন জোটপন্থীরা। তবে কি রাহুলের উত্তরণ মানতেই অসুবিধা হচ্ছে মায়াবতী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের।
রাহুল ঘুরে দাঁড়াতেই বেঁকে বসেছেন জোটপন্থীরা। তবে কি রাহুলের উত্তরণ মানতেই অসুবিধা হচ্ছে মায়াবতী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের। হঠাৎ মোদী-বিরোধী জোট-তরজায় তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা ভাসিয়ে দিয়ে রাহুলকে খাটো করে দেখতে চাইছেন অনেকেই। এই প্রবণতা বুমেরাং হতে পারে জোটপন্থীদের কাছে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কংগ্রেস ছাড়া জোট!
কংগ্রেসকে অন্ধকারে রেখে উত্তরপ্রদেশে আসনরফা একপ্রকার পাকা করেছেন মায়াবতী-অখিলেশরা। যে সূত্রে জোট সমীকরণ পাকা হয়েছে, তা ঘোষণা হবে মায়াবতীর জন্মদিন ১৫ জানুয়ারি। এরপর মধ্যপ্রদেশ নিয়েও তিনি একলা চলার বার্তা দিয়েছেন। আবার অন্যদিকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও চাইছেন, তৃতীয় ফ্রন্ট গড়তে।
বিরোধীদের এ কোন পদক্ষেপ
এই লক্ষ্যে তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরজায় এসে হাজির হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর কথা বললেও, মায়াবতী-অখিলেশদের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। তারপর কেসিআরের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। এরই মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যান।
বিজেপি বেশি সঙ্ঘবদ্ধ
বিজেপি একদিকে জোটসঙ্গীদের একত্রিত করে সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে, তখন কংগ্রেসকে ব্যাকফুটে ঠেলে বিজেপিরই সুবি্ধা করে দিচ্ছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বিরোধীরা যে পথে হাঁটছে, তাতে বিজেপিরই সুবিধা হবে। ক্রমশই প্রাক নির্বাচনী জোট না হওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট হচ্ছে। বিরোধীরা সঙ্ঘবদ্ধ হতে পারছেন না। বরং তিন রাজ্যে কংগ্রেসের কাছে হারের পর বিজেপিকেই বেশি সঙ্ঘবদ্ধ মনে হচ্ছে এখন।
কংগ্রেস কি আত্মতুষ্ট
এর জন্য শুধু কি বিরোধীদের কংগ্রেসকে অন্ধকারে রেখে ভোট লড়াইয়ের প্রবণতাই দায়ী, কংগ্রেসের কোনও দায় নেই! ২০১৯-এর লড়াইয়ের আগে কংগ্রেস কি আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ল। তিন রাজ্যে বিজেপিকে হারিয়েই কি রাহুল ব্রিগেড মনে করছে, ২০১৯-এর যুদ্ধ তাঁরা জিতে গিয়েছে। পরিস্থিতি কিন্তু অচিরেই কংগ্রেসের আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে।
[আরও পড়ুন:মহাজোটের পথে কাঁটা! মধ্যপ্রদেশে জয়ের পরও কংগ্রেসকে একা করে দিলেন মায়াবতী]