আমেদাবাদ পূর্ব আসনে বিজেপি প্রার্থী পরেশ রাওয়ল

অভিনয় জগতে পরেশ রাওয়ল খুবই পরিচিত নাম। 'নায়ক' সিনেমার কথা মনে আছে তো? যেখানে একদিনের মুখ্যমন্ত্রী শিবাজি রাও ওরফে অনিল কাপুরকে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে লড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন বনশল সাব ওরফে পরেশ রাওয়াল! না, এবার আর পরামর্শদাতা হয়ে নয়, পরেশ রাওয়ল চাইছেন, রাজনীতিবিদ হয়েই সাফ করবেন রাজনীতিতে জমা ময়লা! তাই বিজেপি টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব করায় তিনি আর দ্বিধা করেননি। বরং প্রার্থী পদে সম্মতি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে।
অবশ্য পরেশ রাওয়লকে টিকিট দেওয়ার জন্য তাঁকে বাদ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চটেছেন হরিন পাঠক। সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তে খুশি নন। অন্য কোনও কেন্দ্রে দল তাঁকে টিকিট দেবে, এমন ইঙ্গিতও পাননি হরিন পাঠক। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, হরিন পাঠকের অনুগামীরা হয়তো খেপে গিয়ে বিপক্ষ কংগ্রেসকে ভোট দেবে। তাতে অবশ্য পরেশ রাওয়লের ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। কারণ আমেদাবাদে প্রচণ্ড পরাক্রমশালী সংগঠন রয়েছে বিজেপি-র।
এদিকে, গুজরাতের সবরকণ্ঠ লোকসভা আসনে বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে দলের প্রাক্তন বিধায়ক দীপসিং রাঠোরকে। গতবার এখান থেকে ভোটে জিতে যিনি সাংসদ হয়েছিলেন, সেই মহেন্দ্র সিং চৌহানকে টিকিট দেয়নি দল। সবরকণ্ঠ থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছে শঙ্করসিং বাঘেলা। একইভাবে, জুনাগড় আসনে বর্তমান সাংসদ দীনু সোলাঙ্কিকে টিকিট ফের টিকিট দেয়নি বিজেপি। বদলে এখান থেকে লোকসভা ভোটে লড়বেন রাজেশ চুদাসামা। তিনি এখন মাংরোলের বিধায়ক।
তবে রাজ্যের সব আসনেই যে বিজেপি প্রার্থী বদল করেছে এমন নয়। কিছু আসনে পুরনো প্রার্থীদেরই রেখে দিয়েছে। পঞ্চমহল লোকসভা আসনে ফের টিকিট পেয়েছেন প্রভাতসিং চৌহান। খেড়া আসনেও এবার টিকিট পেয়েছেন দেবুসিং চৌহান। তিনি ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের দীনশা প্যাটেলের কাছে ৮০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। দেবুসিং চৌহান বলেন, এবার মোদী-হাওয়াতে তিনি অন্তত ৮০ হাজার ভোটে জিতবেন।
লোকসভার পাশাপাশি গুজরাতে তিনটি বিধানসভা আসনেও উপনির্বাচন হবে। এগুলি হল সোমনাথ-বেরাবল, রাপার এবং হিমতনগর। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই এই আসনগুলিতে একই দিনের ভোট নেওয়া হবে।