এবারও ক্ষমতা অধরা দিল্লিতে, গতবারের থেকে ভাল ফল বিজেপির
এবারও দিল্লির ক্ষমতা অধরাই থেকে গেল বিজেপির কাছে। লোকসভা নির্বাচনে মোদী ঝড় থাকলেও, বিধানসভা নির্বাচনে সেই ঝড় কোনও কাজ করতে পারল না।
এবারও দিল্লির ক্ষমতা অধরাই থেকে গেল বিজেপির কাছে। লোকসভা নির্বাচনে মোদী ঝড় থাকলেও, বিধানসভা নির্বাচনে সেই ঝড় কোনও কাজ করতে পারল না। বরং বলা যেতে পারে ২০১৫-র পর এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কেজরিওয়ালের ঝড় দেখা গেল।
১৯৯৮-এ বিজেপি ক্ষমতা হারায়
বিজেপি ১৯৯৮ নির্বাচনে দিল্লির ক্ষমতা হারায়। সেই সময় সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বাধীন সরকার সবজি, বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছিল। প্রথমবার দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। প্রথমবারেই ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ৭০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৪৯ টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৪ টি আসন।
২০১৩-র নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও ব্যর্থ
এরপরের দুটি নির্বাচনেও দিল্লিতে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। তবে ২০১৩-র নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না বিজেপির। ৩৪ টি আসন দখল করেছিল তারা। অন্যদিকে আপ পেয়েছিল ২৮ টি এবং কংগ্রেস ৮ টি। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে কংগ্রেস আপকেই সমর্থন করেছিল। কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ৪৯ দিন পরে ইস্তফা দেন কেজরিওয়াল। ফলে ২০১৫-তে ফের নির্বাচন।
২০১৫-র নির্বাচনে দিল্লিতে ধরাশায়ী বিজেপি
২০১৪-তে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার। কিন্তু ২০১৫-র নির্বাচনে তা দিল্লিতে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। ৭০ আসনের বিধানসভায় আপ একাই ৬৭ টি আসন দখল করে। অন্যদিকে বিজেপি পায় মাত্র তিনটি আসন।
২০২০-র নির্বাচনেও দিল্লি 'অধরা' বিজেপির কাছে
এখনও পর্যন্ত যে ফল পাওয়া গিয়েছে, তাতে ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনেও দিল্লির প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা বিজেপি অধরাই থেকে যাচ্ছে। ৭০ আসনের বিধানসভায় প্রাথমিক ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে ৫৩ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৬ টি আসনে।