রাজস্থানের বিজেপির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন কংগ্রেসের কতজন বিধায়ক! ঘুঁটি সাজাচ্ছে নাড্ডা শিবির
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের দলীয় কোন্দলের যে ঘরানা দেখা গিয়েছে রাজস্থানেও সেই একই প্যাটার্নে রয়েছে কংগ্রেসের ঘরোনা যুদ্ধ। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো রাজস্থানের তরুণ তুর্কী সচিন পাইলটও বেশ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্থানকে ধীরে ধীরে পাখির চোখ করে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।
রাজস্থানের ৩ ডজন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিজেপির!
সূত্রের দাবি,রাজস্থানে এবার প্রায় ৩ ডজন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে দেখা করে ফেলল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে 'অপরেশন কমল' কার্যত প্রথম পদক্ষেপ থেকেই সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতেই এবার নাড্ডা শিবিরের নজর রাজস্থানে। তবে তাড়াহুড়ো না করে 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' পন্থাতেই এগিয়ে যেতে চাইছে পদ্মশিবির। রাজস্থান বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যেই কংগ্রেস বিধায়করা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন।
অশোক গেহলোট -সচিন পাইলট দ্বন্দ্ব অব্যাহত
রাজস্থানেও মধ্যপ্রদেশের মতো তরুণ তুর্কী সচিন পাইলট বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে নিয়ে। সচিন শিবিরের দাবি, বিধানসভা ভোটে পাইলটের নেতৃত্বে রাজস্থানে কংগ্রেসের বিজয় নিশান উড়েছে। বিজেপি উৎখাত করে যেভাবে সচিন পাইলট ও তাঁর শিবির রাজস্থানে কংগ্রেসকে এনেছে, তার বদলে সচিন পাইলটকে কোনও মর্যাদার আসন দেয়নি কংগ্রেস। তরুণ নেতাকে উপেক্ষা করে হাইকমান্ড বেছে নিয়েছে বর্ষীয়ান অশোক গেহলোটকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য। যা মানতে পারছেন না সচিনপন্থীরা।
রাজস্থানের রাজপাট খোয়ানোর আঁচ সোনিয়ার কাছে..
রাজস্থানে রাজপাট খোয়ানোর আঁচ দিল্লিতে বসেই পেতে শুরু করেছেন সোনিয়া। আর তার জেরে মঙ্গলবারই তিনি অশোক গেহলটকে দিল্লি ডেকে পাঠান। প্রশ্ন তোলেন , কতজন বিধায়ক সেখানে তাঁর পক্ষে রয়েছেন? রাজস্থানে মুখ্যন্ত্রী পদ অশোক পেতেই গোঁসাঘরে সচিন। আর সচিন শিবির কংগ্রেসের সঙ্গে কতাট আছেন, তার তত্ত্ব তলাশ করতেই এবার উঠে পড়ে লেগেছেন সোনিয়া।
জ্যোতিরাদিত্যর পর সচিন পরবর্তী টার্গেট?
উল্লেখ্য, রাজস্থান থেকে রাজ্যসভা আসনে হীরে ব্যবসায়ী রাজীব অরোরাকে বসাতে চায় কংগ্রেস। আর তাতেই বাধ সাধেন সচিন। এই নিয়ে দলের বিরুদ্ধেও ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি । এমন পরিস্থিতিতে সচিনকে দলে টানতে চাইছে রাজস্থান বিজেপি নেতৃত্ব।
জ্যোতিরাদিত্যকে সচিনের মেসেজ
উল্লেখ্য, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে সচিন পাইলটের বন্ধুত্ব খুবই রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদ না পেয়ে জ্যোতি যেভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন, সেভাবেই সচিন পাইলটও ক্ষুব্ধ রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকে নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে বিজেপি যোগ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতেই তাঁকে ফোন করেন সচিন। পরবর্তীকালে সচিন তাঁকে মেসেজও করেন। এর পরবর্তী পর্যায়ে দুই নেতার মধ্যে কী কথোপকথোন হয়েছে , তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।