ছিল সুযোগের অপেক্ষা! প্ল্যান 'বি' কাজে লাগিয়েছে বিজেপি
অপেক্ষায় ছিল বিজেপি। সুযোগ আসতেই তার ব্যবহার করে কার্যত এবারের মতো ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। এমনটাই বলছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ।
অপেক্ষায় ছিল বিজেপি। সুযোগ আসতেই তার ব্যবহার করে কার্যত এবারের মতো ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। এমনটাই বলছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। বিজেপি এব্যাপারে এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের পরিবারের বিরোধকেই কাজে লাগিয়েছে। যেসময় সবাই ধরে নিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি আর কংগ্রেসের সরকার কেবল সময়ের অপেক্ষা, সেই সময় একরাতের অভ্যুত্থানে শিবসেনা, এনসিপি আর কংগ্রেসের আশা শেষ করে দিয়েছে বিজেপি।
গত সপ্তাহ থেকে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের প্রক্রিয়া জোরদার করেছে শিবসেনা, এনসিপি আর কংগ্রেস। যার ওপর খালি নজর রেখে গিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাদের কাছে প্ল্যান বি রেডিই ছিল। শারদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারকে ব্যবহার করেই কাজটা সেরে ফেলেছে বিজেপি।
শুক্রবার রাতে শিবসেনা, এনসিপি আর কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত কথা বলে। ঠিক হয়েছিল শনিবার ফের বৈঠক হবে এবং তারপর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবে শিবসেনা, এনসিপি আর কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে নেহরু সেন্টারের বৈঠকে হাজির ছিলেন অজিত পাওয়ার।
ভোটের ফল বেরনোর পর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত কেউই সরকার গড়তে পারেনি। যে কারণে ১২ নভেম্বর সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। তবে তা তুলে নেওয়া হয় শনিবার ভোর ৫.৪৭ নাগাদ। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী আর অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। রাজভবনে এই শপথগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭.৩০ নাগাদ। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কীভাবে ফড়নবিশ এবং পাওয়ার মিলে ১৪৫ জনের সমর্থন জোগার করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, এনসিপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন। ওই কংগ্রেস নেতা বলেছেন, বিজেপি নেতৃত্ব প্রফুল্ল প্যাটেলকে দিয়ে, শারদ পাওয়ারকে বলেছিল বিজেপির সঙ্গে জোট করতে। এর ফলে ইডির মামলা থেকে বাঁচতে প্যাটেল এবং অজিত পাওয়ারের সুবিধা হবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত কয়েকমাস ধরেই অজিত পাওয়ার এবং শারদ পাওয়ার ও সুপ্রিয়া সুলের মধ্যে বিরোধ বেড়েছে। লোকসভায় ভোটে সময় ছাড়াও বিধানসভা ভোটের টিকিট বিলি নিয়েও এই বিরোধ আরও চওড়া হয়। অজিত পাওয়ার ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, তাঁর ছেলে পার্থকে মাভাল লোকসভা আসনের টিকিট না দেওয়ায়। শেষ পর্যন্ত পার্থ টিকিট পেলেও, বড় ব্যবধানে হেরে যান। পাওয়ার পরিবারের অপর সদস্য রোহিত পাওয়ার কারজাত-জামখেদ বিধানসভা এলাকা থেকে জয়ী হওয়ায় অজিত পাওয়ার রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলেও বলছেন অনেকে।
তবে ৫৪ জন বিধায়কের কতজন অজিত পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।