দুই বছর পর আন্না ও কেজরিকে একমঞ্চে আনল মোদী সরকার!
নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : দীর্ঘ দুই বছর পর সমাজকর্মী আন্না হাজারে ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এক মঞ্চে এনে দাঁড় করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সৌজন্যে তাঁর সরকারের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স।
আজ লোকসভায় পেশ হতে চলেছে এই বিল। আর তারই প্রতিবাদে আজ দিল্লির যন্তরমন্তরে আন্নার প্রতিবাদ সভায় থাকার কথা কেজরিওয়ালের।
গতকাল মহারাষ্ট্র সদনে দুই গুরু শিষ্যের দেখা হয়। সেখানে আন্নার পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পর কেজরিওয়াল ঘনিষ্ঠ মনীশ সিসোডিয়া সাংবাদিকদের জানান, দিল্লি বিধানসভার কাজ মিটিয়ে তিনি ও কেজরিওয়াল আন্নার ধরনা মঞ্চে বসবেন।
২০১১ সালে দিল্লির রামলীলা ময়দানে দুর্নীতির বিরোধিতা ও কড়া লোকপাল বিলের জন্য আন্দোলনে নামেন আন্না হাজারে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনোজ সিসোডিয়ার মতো সুশীল সমাজের একটা বড় অংশ। ক্রমেই দুর্নীতি বিরোধী সেই আন্দোলনের রেশ দেশের নানা অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০১২ সালে কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে সিসোডিয়া সহ একটা বড় অংশ আন্নার পাশ থেকে সরে এসে সরাসরি রাজনীতিতে হাত পাকান। আন্না ও কেজরির সম্পর্কের অধঃপতন তখন থেকেই।
এরপর কেজরিওয়াল ইতিহাস সৃষ্টি করে দিল্লির মসনদ দখল করেন ও আন্নার কাছ থেকে প্রচারের আলো কেড়ে নেন। আন্নাও ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারিয়ে প্রচারে পিছিয়ে যান। দুই একটি আন্দোলন করলেও তা আগের মতো দানা বাঁধেনি। ফলে ফের একবার কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যন্তর মন্তরে দুদিনের ধরনার ডাক দিয়েছেন তিনি।
"বিধানসভার কাজ মিটিয়ে তিনি ও কেজরিওয়াল আন্নার ধরনা মঞ্চে বসবেন" : মনোজ সিসোডিয়া
এ ব্যাপারে আন্না বা কেজরি, দুজনেরই অবস্থান এক। মোদী সরকারের জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্সকে তাঁরা কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন। কর্পোরেটদের জন্যই এই অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার, এই বলেই তোপ দেগেছেন তাঁরা।
গত বছরের শেষেই এনডিএ সরকার জমি অধিগ্রহণ আইনে বদল আনতে নয়া অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসে। পিপিপি প্রকল্প, গ্রামীণ পরিকাঠামো, শিল্প করিডর, আবাসন ও প্রতিরক্ষায় ব্যবহারের জন্য জমি অধিগ্রহণের আগে কৃষকের সম্মতি নেওয়ার যে ধারাটি ইউপিএ সরকারের আমলের জমি আইনে উল্লিখিত ছিল, তা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
এরই
প্রতিবাদে
সরব
হয়েছে
বিরোধীরা।
অর্ডিন্যান্সের
বিরোধিতা
করে
আন্না
বলেন,
২০১৩-র
জমি
অধিগ্রহণ
আইনে
বলা
হয়েছিল,
জমিদাতাদের
৭০
শতাংশ
সম্মতি
না
দিলে
সেই
জমি
নেওয়া
যাবে
না।
কিন্তু
কর্পোরেটদের
স্বার্থে
সেই
ধারাটি
তুলে
দিয়েছে
মোদী
সরকার।
কেজরিওয়াল
ও
আন্নার
ফের
একবার
একসঙ্গে
পথ
চলা
কতটা
মসৃণ
হয়
এখন
সেদিকেই
তাকিয়ে
ওয়াকিবহাল
মহল।