নবী বিতর্কের পর সতর্ক বিজেপি, সলমন রুশদির ঘটনায় কুলুপ এঁটেছে নেতারা
বিশ্বে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতারা মুখ খুললেও, তাঁরা অদ্ভুতভাবে চুপ রয়েছেন সলমন রুশদির উপর হামলার ঘটনায়। কার্যত তাঁরা নীরবতা বজায় রেখেছে এই বিষয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কিছু মাস আগেই নবী বিতর্ক নিয়ে ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়্রে গিয়েছিল পার্টি। তাই আর সেই বিতর্কের মধ্যে পড়তে চাইছে না দলীয় নেতারা।
কংগ্রেস এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এই হামলার নিন্দা করেছে। বেশিরভাগ অন্যান্য বিরোধী দলও ১২ অগাস্ট নিউইয়র্কে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। ভারত রাজীব গান্ধী সরকারের অধীনে ছিল তখন ১৯৮৮ সালে রুশদির 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' নিষিদ্ধ করা প্রথম দেশ ছিল। উপন্যাসটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।
ইসলাম ও নবী বিতর্ক
এই
বিষয়ে
প্রতিক্রিয়া
জানাতে
জাতীয়
সংবাদ
সংস্থা
১২
জন
বিজেপি
নেতা
ও
কর্মীর
কাছে
গিয়েছিল
কিন্তু
তারা
এই
বিষয়ে
কথা
বলতে
রাজি
হয়নি।
দলের
একজন
সিনিয়র
কর্মকর্তা
বলেছেন
যে
যা
বলার
ছিল
তা
বিদেশ
মন্ত্রী
এস
জয়শঙ্কর
বলেছেন।
তিনি
বলেছেন,
"আমিও
এটি
সম্পর্কে
পড়েছি।
এটি
এমন
একটি
বিষয়
যা
পুরো
বিশ্বের
নজর
কেড়েছে
এবং
সারা
বিশ্ব
এই
ধরনের
আক্রমণে
প্রতিক্রিয়া
জানিয়েছে,
জয়শঙ্কর
শনিবার
বেঙ্গালুরুতে
মিডিয়াকে
এই
কথা
বলে
দিয়েছেন।
তাই
আমরা
আর
এই
বিষয়ে
নতুন
করে
বলতে
চাইছি
না।
কী বলছেন বিসেশজ্ঞরা?
নবী মহম্মদ সম্পর্কে শর্মার মন্তব্য বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল, অনেক আরব দেশ ভারত সরকারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে, শর্মাকে জুন মাসে বিজেপি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, এবং দলের মুখপাত্রদের আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্য না করতে বলা হয়েছিল।
কী বলছেন বিজেপি নেতা?
একজন বিজেপি নেতা বলেছেন, "নূপুর শর্মা বিতর্কের রেশ অনেকটাই কমে গিয়েছে এবং দল কোনও নতুন বিতর্কে যেতে চায় না। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করেন যে সুতরাং, বিজেপি যে লজ্জা পাচ্ছে তা নয়। তবে আমরা এই সময়ে এই বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও প্রয়োজন দেখছি না।"
ভিএইচপি কী বলছে?
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), আরেকটি সংঘ পরিবারের সংগঠন, আক্রমণ সম্পর্কে বেশ সোচ্চার হয়েছে। ভিএইচপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার বুকার পুরস্কার বিজয়ীর উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন। ভিএইচপি জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বানসালও এই পর্বে মুসলিম উলামাদের (আলেমদের) কথিত নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, "লেখক এবং যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রবক্তা তাদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলার বিষয়ে মুসলিম উলামা ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কেন নীরব?"