প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা জয়ে ভরসা অঙ্ক! যুদ্ধ জয়ে মধ্যপ্রদেশে যা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে মোদীর দল
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াকে বাগে আনতে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির নতুন চিন্তাভাবনা। বর্তমানে ১৬৫ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত এক তৃতীয়াংশকে পুনরায় মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।
প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াকে বাগে আনতে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির নতুন চিন্তাভাবনা। বর্তমানে ১৬৫ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত এক তৃতীয়াংশকে পুনরায় মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। টানা তিনবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন বিজেপি। চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছয়মাস ধরে সমীক্ষা চালিয়েছে বিজেপি। ভোটদাতা ও দলের কর্মীদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। পরপর চারটি বিধানসভার উপনির্বাচনে হারের পর এই সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানেই দেখা গিয়েছে বর্তমান ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া রয়েছে। দেখা গিয়েছে, দলের কর্মীরাই চৌহান সরকারের কাজে সন্তুষ্ট নয়। এই তালিকায় রয়েছেন, শিবরাজ সিং চৌহান মন্ত্রিসভায় ছয় সদস্যও। এইসব বিধায়কের কাজকর্ম সন্তোষজনক নয় বলে খবর বিজেপির অন্দরমহলের।
বর্তমানের এক-তৃতীয়াংশ বিধায়ককে পুনরায় মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নির্বাচনী কমিটির সদস্য।
বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভা কেন্দ্র ধরে সমীক্ষা চালানোর সময় বিজেপি কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে প্রার্থী হলে সুবিধা হয়। এছাড়াও দলের তরফেও বিধায়কদের সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছিল।
এরই মধ্যে বিজেপি সমর্থকরা যেসব বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাঁরা হলেন, ভোপালের বৈরাশিয়ার বিষ্ণু কোঠারি, ভোপালেরই গোবিন্দপোরার কেন্দ্রের বাবুলাল গৌর। বাবুলাল গৌর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও বটে। প্রায় ৪ দশক ধরে তিনি বিধায়ক পদে রয়েছেন।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ছত্তিশগড়ের ১৪ বিধায়ককে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি তাঁদের কাজের নিরিখে।
বিজেপি সূত্রে খবর, পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে পারে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে, কোনও বিধায়ক কিংবা মন্ত্রীকে অন্যয় কেন্দ্রে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। কিংবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ মিলল অনুব্রত-গড়ে, পুরুলিয়া-কাণ্ডের ছায়া রহস্য-মৃত্যুকাণ্ডে]
২০০৩ থেকে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০০৫ থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ২০১৩-র নির্বাচনে রাজ্যে ২৩০ আসনের মধ্যে ১৬৫ টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। ২৮ নভেম্বর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।
বিজেপি মুখপত্র রাজনীশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, উপযুক্ত সময়ে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
[আরও পড়ুন:বিজেপির পতাকা হাতে গ্রাম ঘুরছেন তৃণমূল সভাপতি! 'আজব' এ দৃশ্যের সাক্ষী খানাকুল]
অন্যদিকে কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির সমীক্ষাতেই প্রকাশ এবার তারা হারতে চলেছে। বিধায়কদের সরিয়ে দেওয়াই হোক কিংবা অন্য কিছু, কোনও পরিবর্তনই রাজ্যে নির্বাচনী ফলে পরিবর্তন আনতে পারবে না বলে মনে করছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন:মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক মুকুল! তার বিরুদ্ধে কত মামলা, ছেলেকে নিয়ে যা বললেন বিজেপি নেতা]