গডসেকে নিয়ে মন্তব্যে প্রজ্ঞা-অনন্ত-নলিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বিজেপির
গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলীয় প্রার্থী অনন্ত কুমার হেগড়ে, সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ও নলিন কুমার কাটিলের বিরুদ্ধে হুইপ জারি করেছেন অমিত সাহ
মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলীয় প্রার্থী অনন্ত কুমার হেগড়ে, সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ও নলিন কুমার কাটিলের বিরুদ্ধে হুইপ জারি করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ১০দিনের মধ্যে দলের ওই তিন নেতাকে বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ।
গডসেকে নিয়ে অনন্ত কুমার হেগড়ে, সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ও নলিন কুমার কাটিলের মন্তব্য তাঁদের ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। ওই তিন নেতার বক্তব্যের সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ। বিষয়টি যে দল ভাবভাবে নেয়নি, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। ইতিমধ্যে বিজেপির ওই তিন নেতা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপি কড়া পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না বলে আশ্বাসও দিয়েছেন সভাপতি অমিত শাহ।
স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী একজন হিন্দু বলে নাম না করে নাথুরাম গডসেকে নিশানা করেছিলেন অভিনেতা টার্নড রাজনীতিক কমল হাসান। এর উত্তরে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর গডসেকে দেশভক্ত বলে সম্বোধন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়েকে এক টুইট বার্তায় মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারীকে রীতিমতো নায়কের তরজা দিয়েছিলেন। কর্নাটকের বিজেপি নেতা নলিন কুমার কাটিল নাথুরাম গডসের সঙ্গে প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর তুলনা করে বিরোধীদের চালিয়ে খেলার সুযোগ দিয়েছিলেন। এমন ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমা দাবি করেছিল কংগ্রেস।
ভোটের মধ্যেই তিন নেতার এমন আচরনে অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। শেষে দলের শীর্ষ নেতাদের চাপে নাথুরাম গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে ও কর্নাটকের বিজেপি নেতা নলিন কুমার কাটিল। গডসেকে নিয়ে করা টুইট ডিলিট করে দেন অনন্ত কুমার। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট কেউ বা কারা হ্যাক করেছিল বলে সাফাইও দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: মায়া 'ফিট', মোদী 'আনফিট'! প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নিজের নাম ভাসিয়ে দিলেন বহেনজি ]